বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

আরিফ মাহমুদ সুমন
আরিফ মাহমুদ সুমন  © সংগৃহীত

রাজধানীর একটি বেসরকারি শিক্ষার্থী আরিফ মাহমুদ সুমনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মোহাম্মদ মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালতে এই মামলা করা হয়।

মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলায় হৃদয় মিয়া (২২) ও রনি হোসেনের (২৭) নামে দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আরিফ মাহমুদ সুমন চলতি বছরের ৯ জুন মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন রাতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পান তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর তাকে ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে নিয়ে মাথায় অপারেশন করা হয়। ২৫ জুলাই ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মারা যান।

এর আগে হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় আহতের পক্ষে মামলা করতে যান তার পরিবারের সদস্যরা। তবে পুলিশ মামলা না নিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সুমন আহত হয়েছে- মর্মে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করিয়ে নেয়। তবে সেই জিডির তদন্তও হয়নি।

মৃত্যুর পর লাশ ময়নাতদন্ত না করে বাদীর কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় পুলিশ। যেখানে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং ময়নাতদন্ত করবে না মর্মে বাদীর কাছ থেকে চাপ দিয়ে লিখিত কপিতে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিলেও দীর্ঘদিনে তদন্ত না করায় নিহতের বাবা আদালতে এই মামলা করলেন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, সুমনের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে নিহত সুমনের মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ বাদীকে ফেরৎ দেয়। তবে বাদী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, নিহত সুমন বেসরকারি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করে খণ্ডকালীন একটি প্রজেক্টে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছিলেন। একইসঙ্গে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ