অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে যা বললেন সাকিব

সাকিব আল হাসান
সাকিব আল হাসান   © সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গেল ৮ মাসে বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ নেওয়ায় দেশবাসীর কাছে নানাভাবে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান। 

সম্প্রতি দেশের বেসরকারি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, আমি নিশ্চিত, তারা সদিচ্ছা নিয়েই কাজ করছে। তবে সময়ই বলে দেবে, তারা কতদূর যাবেন। এর বাইরে আমি আর কিছুই বলতে পারব না।

ক্ষমতার পালা-বদল নিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃতির নিয়ম এমনই। ১০ বছর হোক, ২০ বছর হোক, কেউই ক্ষমতায় বসে থাকতে পারবে না। যদি অন্য কোনো দল ক্ষমতায় আসে, তারাও সেখানে চিরকাল থাকতে পারবে না। এই চক্রটা চলতেই থাকবে। আপনি এটা বলতে পারবেন না যে কখন এটা শেষ হবে।

এদিকে সাকিবের মাথায় হত্যা মামলার খড়গ ঝুলছে। যে কারণে ইচ্ছে থাকলেও দেশে ফেরা হচ্ছে না তার। তবে দেশের মাটিতে খেলেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার প্রত্যাশা সাকিবের। এজন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন তিনি। 

সাকিবের ভাষ্য, এখন আমার প্রধানতম স্বপ্ন হচ্ছে, দেশের মাটিতে খেলে অবসরে যাওয়া। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি এখনও। প্রধান উপদেষ্টা, ক্রীড়া উপদেষ্টা, বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা হচ্ছে আমার।

সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন সাকিব। সেই সময়ে জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি আর খেলবেন না তিনি। আর অক্টোবরে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণার পাশাপাশি ওয়ানডেতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে রাজনৈতিক বিতর্কে একটি ইচ্ছেও পূরণ হয়নি। যদিও সেই ইচ্ছে এখনও পুষে রেখেছেন সাকিব।

এ প্রসঙ্গে ৩৮ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি সংসদ সদস্য ছিলাম। কিন্তু এখন তো আর নেই এবং কোনো দলে কোনো রাজনৈতিক পদও নেই। যে কাজটি আমি ১৮ থেকে ২০ বছর (বাংলাদেশের হয়ে খেলা) ধরে করছি, সেটা থামিয়ে দেওয়াটা কি আপত্তিকর নয়? আমি এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলে ভালোভাবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। যদি সুযোগ থাকে, আমি এক সিরিজ, দুই সিরিজ নাকি আরও এক বছর খেলব, সেই পরিকল্পনা করতে চাই।’

স্পষ্ট করেই সাকিব বলেছেন, ‘দেশের হয়ে খেলাই আমার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা এবং সে জন্য আমি নিজের সবকিছু দিয়ে দিতে রাজি। এটাই আমার স্বপ্ন এবং সেটা পূরণ করতে আমি সবকিছুই করছি—ক্রীড়া উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা বলছি।’


সর্বশেষ সংবাদ