রাজশাহী কলেজ ছাত্রাবাসে চুরি; সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব

রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাস
রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাস  © টিডিসি ছবি

রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে ল্যাপটপ চুরির পর সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সি ব্লকের ২০৫ নম্বর কক্ষ থেকে আবু রায়হান নামে এক শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ চুরি হয়। তবে দু’দিন পর ফুটেজ দেখতে গিয়ে দেখা যায়, চুরির সময়কার কোনো ফুটেজ নেই।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সিসিটিভি ক্যামেরা ২৪ ঘণ্টা সচল রাখার কথা থাকলেও তা নিশ্চিত করা হয়নি। ক্যামেরার ফুটেজ হারানোকে প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী আবু রায়হান বলেন, ‘চুরির বিষয়টি সাথে সাথেই হল প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল, ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করা হবে। কিন্তু পরে জানলাম, ওই সময়ের ফুটেজ নেই। এতে আমরা হতাশ।’

হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরা চুরির সময় কাজ করেনি। ছাত্রাবাসের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক আবু জাফর মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রি-পেইড মিটারের ব্যালেন্স শেষ হয়ে যাওয়ায় সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। যে দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বিষয়টি আগে জানালে এমন ঘটনা ঘটতো না।’

তবে শিক্ষার্থীরা এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যদি চুরির সময় ক্যামেরা বন্ধ থাকে, তাহলে এতগুলো ক্যামেরা বসিয়ে লাভ কী? আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. যহুর আলী বলেন, ‘ল্যাপটপ চুরির বিষয়ে ভুক্তভোগীকে লিখিত আবেদন করতে বলেছি। ফুটেজ গায়েব হওয়ার বিষয়টি আজ আইটি সাপ্লাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি। আইনি পদক্ষেপ নিতে আমরা কাজ শুরু করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যারা নিয়েছে, তাদের ব্যর্থতা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’

এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হওয়ায় ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্রের সন্দেহও তৈরি হয়েছে। ছাত্রাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

চুরির পর সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হওয়ায় ছাত্রাবাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি বাড়ছে। এ ঘটনায় হল প্রশাসনের গাফিলতি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।

প্রশাসন বলছে, ঘটনার তদন্তে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা কার্যকর ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence