গোপালগঞ্জে আগুনে পুড়ল ১০ দোকান, ক্ষতি ২০ লাখ টাকা

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান  © টিডিসি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ১০টি দোকান। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কুশলা বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোটালীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের অফিসার সিরাজুল ইসলাম।  তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কুশলা বাজারের একটি দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ওই বাজারের ১০টি দোকান পুড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আড়াই ঘণ্টা পর সকাল ৬টার দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

তিনি আরো জানান, এ অগ্নিকাণ্ডে ৪টি চায়ের দোকান এবং ১টি করে মুদি, ফার্মেসি, অফিস, সেলুন, ফল ও মোবাইলের দোকান পুড়ে যাওয়ায় অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কুশলা বাজার কমিটির সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিদিনের মত রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান ব্যবসায়ীরা পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সবাই জানতে পারে বাজারে আগুন লেগেছে। কিন্তু বাজারে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও সব কিছুই পুড়ে যায়। এতে মো. শরিফুলের চায়ের দোকান, মো. শহিদ ফকিরের চায়ের দোকান, মো. সায়েদুল শেখের চায়ের দোকান, আমিনুর চৌধুরীর চায়ের দোকান, ইমরুল মোল্যার মুদি দোকান, ওমর মৃধার মুদি দোকান, কামরুল ইসলামের ফার্মেসির দোকান, কপিল বিশ্বাসের মোবাইলের দোকান, রিয়াজ মাহমুদের অফিস রুম এবং শৈলান শীলের সেলুনের দোকান পুড়ে যায়। 

তিনি আরও বলেন,  এই ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন এনে ব্যবসা করছিল। অগ্নিকাণ্ডে তাদের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন তারা লোন পরিশোধ করবে কীভাবে। আমি সরকার ও বিত্তবানদের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. শরিফুল বলেন, প্রতিদিনের মত রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। পরে শুনি বাজারে আগুন লেগেছে। বাজারে এসেও দোকান বাঁচাতে পারিনি। এই দোকানের আয় দিয়ে আমার সংসার চলত। আয়ের পথ বন্ধ হওয়ায় এখন না থেকে দিন কাটাতে হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত অপর ব্যবসায়ী ইমরুল মোল্যা বলেন, ভাবতেই পারিনি আমার এভাবে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে। অনেক চেষ্টা করেছি দোকান বাঁচাতে কিন্তু পারিনি। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কীভাবে চলবো ভাবতেই পারছি না।

আরেক ব্যবসায়ী মো. সায়েদুল শেখ বলেন, আমি ব্যাংক ও এনজিও থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার লোন নিয়ে দোকানটি করেছিলাম। আগুনে পুড়ে আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি এখন ব্যাংকে ও এনজিওর লোন পরিশোধ করবো কীভাবে।

এ বিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, বিষয়টি আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা করা হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence