চাকরির বয়স ৩৫ বছরের সুপারিশ কেন গ্রহণ করেনি, সরকার বলতে পারবে: মুয়ীদ চৌধুরী

চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা
চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা  © ফাইল ফটো

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ৩৫ ও নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছিল জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পর্যালোচনা কমিটি। তবে সরকার পরে ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নেয়। সুপারিশ কেন গ্রহণ করা হয়নি, তা জানেন না বলে জানিয়েছেন কমিশনের প্রধান।

আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর আগে আমরা বিভিন্ন দেশের চাকরির বয়স কত, তা যাচাই করেছি৷ এরপর আমরা পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৫ এবং নারীদের ৩৭ বছর করার সুপারিশ করেছিলাম। 

তিনি বলেন, সরকার বয়স ৩২ বছর করলো। চিকিৎসকদের চাকরির বয়স আগে থেকেই ৩২ বছর ছিল। কেন আমাদের সুপারিশগ্রহণ করা হয়নি, সেটি সরকার ভালো বলতে পারবে।

আরো পড়ুন: উপ ও যুগ্ম সচিব পদে পরীক্ষা ছাড়া পদোন্নতি নয়: সংস্কার কমিশন

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৩২ বছর নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত ১৮ নভেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। 

এর আগে গত ১৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এ বিষয়ে গঠিত কমিটি। কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী সে সময় জানান, চাকরিতে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৫ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৩৭ করার সুপারিশ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ