প্রজ্ঞাপনে শারীরিক প্রতিবন্ধী শব্দ পাল্টে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি’ যোগ করার দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৩ PM , আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৪ PM
সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগে সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। এমন বিধান রেখে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ (যেমন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান) এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সব গ্রেডে সরাসরি নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ।
বাকি পদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা থাকবে। তবে নির্ধারিত এই কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে কোটার শূন্য পদও সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে।
তবে এ প্রজ্ঞাপনে শুধু ‘শারীরিক’ প্রতিবন্ধী শব্দটি থাকায় অন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বঞ্চিত হবেন বলে মনে করছেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও আইনসংশ্লিষ্টরা। তারা দ্রুত প্রজ্ঞাপনে সংশোধনী এনে শারীরিক প্রতিবন্ধী শব্দ পাল্টে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তি’ শব্দ যোগ করার দাবি জানিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন ভিজ্যুয়ালি ইমপিয়ার্ড পিপলস সোসাইটির (ভিপস) সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন মজুমদার বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন, সে রায়ে ‘শারীরিক’ শব্দটি নেই; কিন্তু প্রজ্ঞাপনে শব্দটি যোগ করা হয়েছে। এতে ভুল বোঝাবুঝির যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।
সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম বলেন, আগে চাকরির কোটায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে এতিম যোগ ছিল, ফলে এতিম প্রাধান্য পেতেন, প্রতিবন্ধীরা চাকরি পেতেন না। আর এবার হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গ শব্দটি যোগ হওয়ায় খুব কমসংখ্যক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরি পাবেন।
এর আগে গত রোববার সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহাল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় সামগ্রিকভাবে বাতিল করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দেন। এরপর সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে গত মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো বলে উল্লেখ আছে। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রজ্ঞাপনে শারীরিক শব্দটি থাকলেও অন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বঞ্চিত হবেন না। এটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।