বেকার ভাতাসহ ৪ দাবিতে মানববন্ধন বেকার সম্প্রদায়ের

  © সংগৃহীত

সব ধরনের চাকরির আবেদন ফি বাতিল, বেকার ভাতা চালু করাসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায়’। আজ শুক্রবার (১৬ জুন) রাজধানীর প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

তাদের ৪ দফা দাবিগুলো হলো- ঢাকাসহ প্রত্যেক বিভাগ ও জেলা শহরে পর্যাপ্ত বেকার হোস্টেল করতে হবে এবং প্রত্যেক বেকারকে বেকার ভাতা দিতে হবে; সকল চাকরির আবেদন ফি ও বিশ্ববিদ্যালয় এর আবেদন ফি বাতিল করতে হবে; ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণির চাকরিতে (১১-২০ মোড) জাতীয় নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ দিতে হবে এবং বেকারকে উদ্যোক্তা তৈরিতে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা যৌক্তিকতার ভিত্তিতে বৃদ্ধি করতে হবে।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি আল কাওছার মিয়াজী বলেন, ঢাকাসহ প্রত্যেক বিভাগ ও জেলা শহরে বেকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আবাসন। বেকার বা ব্যাচেলরদের বাড়িওয়ালারা বাসা ভাড়া দিতে চায় না। আর দিলেও হাজারো শর্ত জুড়ে দেয় এবং বাসা ভাড়া কয়েক গুণ বেশি দিতে হয়। বিশ্বের প্রায় প্রত্যেক দেশে বেকারদের জন্য বেকার হোস্টেল রয়েছে। বর্তমানে সময়ের প্রয়োজনে বাংলাদেশেও বেকার হোস্টেলের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, বেকারদের জন্য বিশ্বের প্রত্যেক দেশে বিশেষ সুযোগ সুবিধা থাকলেও কেবল বাংলাদেশে সেসব নেই। দেশে যদি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বৈশাখী ভাতা ইত্যাদি চালু থাকতে পারে তাহলে বেকার ভাতা কেন নয়? তাই উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও বেকার ভাতা চালু করতে হবে।

সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম সরকার বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে চাকরিতে আবেদনের কোনো ফি নেওয়া হয় না। সেখানে বাংলাদেশ যেন আবেদন ফি নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি আবেদন ফি ব্যতীত পরীক্ষা নিতে পারে তাহলে অন্য ব্যাংক, মন্ত্রণালয়ে বা দপ্তরে কেন ফি নিতে হবে। যেহেতু তাদের প্রয়োজনে তারা নিয়োগ দেবে সুতরাং পরীক্ষার ব্যয় তাদেরকেই বহন করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. আসাদ আলী খান, মো. কামরুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান, মো. সাদেকুল ইসলাম, বঙ্কিম চন্দ্র সরকার, অহিদুল ইসলাম ফয়সাল প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ