মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়নের দাবিতে সিকৃবিতে মানববন্ধন
- সিকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ০৫:০৭ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০২:৪৮ PM

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন এবং সৃজিত ৩৯৫টি নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) মানববন্ধন করেছে মাৎসবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (৫ মে) বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় ছাত্র সমিতির উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নির্মল চন্দ্র রায়সহ একাধিক শিক্ষক এবং দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মাৎসবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ২০১৫ সালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তর ‘মৎস্য সম্প্রসারণ ও মাননিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা’ পদে ৩৯৫টি ৯ম গ্রেডের নতুন পদসহ মোট ৬৩৭টি স্থায়ী পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেয়, যা জনপ্রশাসন ও অর্থ বিভাগের সম্মতি পেয়েও আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটরা তাদের ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী এই সেক্টরে অবদান রাখতে পারছে না। তারা সংশ্লিষ্ট নিয়োগবিধি ও অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধনে সিকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নির্মল চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকের আন্দোলন যৌক্তিক এবং এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ করতে পারব বলে আশাবাদী। এই দাবি পূরণ হলে বেকার মৎস্যবিদের সংখ্যা কমে আসবে এবং যথাযথ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, যার মাধ্যমে আমাদের দেশের মৎস্য খাত অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।’
আরও পড়ুন: গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় ছাত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এটি শুধুই একটি প্রশাসনিক বিলম্ব নয়, এটি একটি প্রজন্মের স্বপ্নকে থমকে দেওয়ার প্রতিচ্ছবি। আমরা যারা মাৎস্যবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছি, তারা শুধু একটা ডিগ্রি নিচ্ছি না; বরং আমরা দেশের খাদ্যনিরাপত্তা, পুষ্টি ও ‘ব্লু ইকোনমি’র ভবিষ্যৎ নির্মাণে নিজেদের প্রস্তুত করছি। কিন্তু আমাদের কর্মক্ষেত্র সংকুচিত, সুযোগ কম, অবমূল্যায়ন বেশি। আমরা অতিদ্রুত অর্গানোগ্রামের বাস্তবায়ন চাই।’