প্রশাসনের আশ্বাসে হলে ফিরলেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৬ AM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৬ AM

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সুলতানা রাজিয়া হলে সিঙ্গেল সিটের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটার দিকে সড়ক অবরোধ করে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনার পর বারোটার দিকে হলে ফিরে যান তারা।
এদিন দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে বুধবার সাতটার দিকে হলের সামনের সড়ক অবরোধ করে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ‘গণরুম নাকি জেল, প্রশাসনের নাকে তেল’ , ‘হলে হলে বৈষম্য, চলবে না চলবে না’, ‘সিঙ্গেল বেডে দুইজন করে, থাকব না থাকব না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত গণরুম থেকে সরিয়ে নিয়মিত কক্ষে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। হলে আসন দিতে সময় লাগলে অন্তত আপাতত যেন একজন শিক্ষার্থীকে এক বেডে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে তারা অস্বাস্থ্যকর ও দুর্বিষহ পরিবেশে বসবাস করছেন। একজনের বেডে দুইজন করে থাকছেন, আর মাত্র চারটি বাথরুম ব্যবহার করছেন ১২৬ জন শিক্ষার্থী।
হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, চারটি গণরুম ১২৬ জন থাকছি। এক বেডে দুইজন করে ঘুমাচ্ছি। মাত্র চারটি বাথরুম ব্যবহার করতে হচ্ছে সবাইকে। এতদিন ধৈর্য ধরেছি, কিন্তু এখন আর সম্ভব না। আমরা সিট চাই।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, প্রক্টরিয়াল টিমের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
শিক্ষার্থীরা আসন্ন এপ্রিল মাসের মধ্যে তাদেরকে সিঙ্গেল বেডের আসন দিয়ে গণরুম বিলুপ্তকরণ এবং সিট সংকট দূর করার বিষয়ে লিখিতভাবে দাবি উত্থাপন করেন। তারা সিটজনিত সংকট এবং গণরুমের কারণে সৃষ্ট সমস্যা সরাসরি দেখানোর জন্য সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলীকে গণরুম পরিদর্শনে নিয়ে যান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। এ মুহূর্তেই তাৎক্ষণিকভাবে এর সমাধান করা জটিল। তবে আসন্ন এপ্রিল মাসের মধ্যে আমরা তাদের আবাসন সংকট দূর করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যে পরামর্শগুলো এসেছে সেগুলোও বিশেষ বিবেচনায় রাখা হবে। সার্বিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রাধ্যক্ষ পরিষদ এবং উপাচার্যের সাথে আলোচনা করা হবে। এপ্রিলের মধ্যে চারটি হলের মধ্যে সমন্বয় করে আসন বিন্যাস করে বা অন্য কোনো উপায়ে চেষ্টা করা হবে যাতে আসন সংকট কিছুটা হলেও নিরসন করা যায়।