বাকৃবির গবেষণা অগ্রগতির বার্ষিক কর্মশালা শনিবার
- বাকৃবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ PM , আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ PM

‘বাংলাদেশে জলবায়ু সহনশীল কৃষিকে উৎসাহিত করা: কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) তত্ত্বাবধানে তিন দিনব্যাপী ‘গবেষণা অগ্রগতির বার্ষিক কর্মশালা ২০২৩-২৪’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামীকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটির উদ্বোধন করা হবে।
আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বাউরেসের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাউরেসের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাভিদুল হক ভূঞা ও সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পরেশ কুমার শর্মা।
অনুষ্ঠানে এবছর শিক্ষকদের এইচ-ইনডেক্স মানের উপর ভিত্তি করে মোট ১৭ জনকে গ্লোবাল রিসার্চ ইম্প্যাক্ট রিকগনাইজেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদান করা হবে। এছাড়াও কৃষি উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য খামার পর্যায়ের ৫ জন কৃষককে প্রফেসর ড. আশরাফ আলী খান স্মৃতি কৃষি পুরস্কার-২০২৫ প্রদান করা হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত গবেষণা প্রকল্প থেকে উন্নত মানের ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে আর্টিক্যাল প্রকাশ করায় তাদেরকে প্রকাশনা খরচ প্রদান করা হবে। এ বছর কৃষি বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১ জন সাংবাদিককে কৃষি সাংবাদিকতা অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকদের মধ্যে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি স্বর্ণপদক পুরষ্কার প্রাপ্তির অসামান্য কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরুপ বাউরেস থেকে পাঁচ জনকে গ্লোবাল সায়েন্টিস্ট রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান করা হবে। ২০২৪ সালে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে স্ট্যানফোর্ড-এলসেভিয়ায়ের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় যেই ৮ জন শিক্ষককে তাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাউরেস থেকে তাদেরকে সম্মাননা-২০২৫ প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে ২৩টি টেকনিক্যাল সেশন উপস্থাপিত হবে এবং তা থেকে পরবর্তী গবেষণার পরিকল্পনা করা হবে। পরবর্তী সময়ে সেশনভিত্তিক বেস্ট ২১ জন উপস্থাপনকারীকে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হবে। এ ছাড়া পোস্টার সেশন মোট ৬ জনকে সেরা পোস্টার উপস্থাপনকারী হিসেবে পুরস্কৃত করা হবে।
বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কার্যক্রম হচ্ছে শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণ। বাউরেস সবসময় রিসার্চারদের সর্বোচ্চ সাহায্য প্রদান করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সব গবেষণা বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে বাউরেস নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলেও প্রথম বাকৃবিতেই বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা হয়ে আসছে।’
তিনি আরই বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি একান্তভাবেই কৃষিনির্ভর। আমাদের জাতীয় উন্নয়ন তাই কৃষি উন্নয়নের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। জনবল, জমি ও জল-এ ত্রিবিধ সম্পদে বাংলাদেশ অনন্যভাবে সমৃদ্ধ। এ সম্পদের বিজ্ঞানসম্মত ও পরিকল্পিত ব্যবহারের মাধ্যমে এ দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রয়োজন বিজ্ঞান ভিত্তিক কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণ।’