বঙ্গমাতা হলসহ বাকৃবির ৬ স্থাপনার নতুন নাম

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি সম্পাদিত

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে রদবদলের পাশাপাশি আবাসিক হল, নতুন ভবন ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন শুরু হয়েছে।  তবে এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৩২৭তম অধিবেশনে হল, ভবন ও স্থানের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এগুলো হলো: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হল এর পরিবর্তিত নাম জুলাই ৩৬ হল, রোজী জামাল হল থেকে কৃষিকন্যা হল, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম বেগম খালেদা জিয়া হল, পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া পিএইচডি ডরমিটরি এর পরিবর্তিত নাম শহীদ সাদ ইবনে মমতাজ পিএইচডি ডরমিটরি, নতুন গেস্ট হাউজের নাম কৃষিবিদ গেস্ট হাউজ এবং বঙ্গবন্ধু চত্বর এর পরিবর্তিত নাম সমাবর্তন চত্বর।

এ বিষয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে আলোচনার ব্যাপক ঝড় উঠেছে।  হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিহাব হাসান লিখেছেন, “কবি সুফিয়া কামাল, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, মাদার তেরেসা, তারামন বিবি, জাহানারা ইমামকে ইমাম, মা ফাতেমা, আয়শা (রা:)  আরও কত ভালো ভালো নাম ছিল। এইটা কি নাম দিলো কি বুঝে দিলো? ভার্সিটির সম্মান থাকবে না এভাবে চললে। কর্তৃপক্ষের এবং সকল শিক্ষার্থীদের বিষয়টা ভাবা উচিত।”

রাফি আহমেদ রিদম লিখেছেন, “কৃষিপিতা, কৃষিমাতা আর কৃষিপুত্র নামে হল হলে বাকৃবিকে এক সুতোয় বাঁধা যাবে। কোন হল পিতা আর কোন হল পুত্র হবে এটা নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজনও করা যায়। তবে গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছে অনেকের কাছে।  

নাম পরিবর্তনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আল আমিন তান লিখেছেন, “অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে এইসব নাম প্রস্তাবকারীদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হোক। সাথে বিগত সময়ে রাষ্ট্রপতির (শেখ মুজিবুর রহমান) পুত্রবধূর নাম কারা কারা প্রস্তাব ও অনুমোদন বাস্তবায়ন করেছিলেন তাদেরকে শোকজ নোটিশ প্রেরণ করা দরকার।


সর্বশেষ সংবাদ