৪৮ ঘন্টায়ও পূরণ হয়নি বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি

শিক্ষকদের সাথে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের আলোচনা সভা
শিক্ষকদের সাথে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের আলোচনা সভা  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়(বাকৃবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়কে শিক্ষার্থী ইফতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ১০ দফা দাবি ৪৮ ঘন্টায় পূরণ হয়নি। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আন্দোলন ও বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভ মিছিলটি কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা প্রদক্ষিণ করে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় প্রক্টরের পদত্যাগ এবং শিক্ষার্থীদের  দাবি মানার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিল শেষে কৃষি অনুষদের ৩য় তলায় শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সভা করে আন্দোলনকারীরা।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী তৌহিদ চৌধুরী বলেন, আমাদের ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আমাদের কোন দাবি এখনো পূরণ করা হয়নি। এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো শোকবার্তাও প্রকাশ করা হয়নি। 

এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সভা করেছি কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। আমরা রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ) পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এর মধ্যে যদি আমাদের সকল দাবি পূরণ না করা হয় তবে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো এবং ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করবো।

এছাড়া, শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় ৬ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি সংসদ। ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি সংসদের সভাপতি হাবিব আহমেদ লিমন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ারের সুবিধা বৃদ্ধি এবং অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যাবৃদ্ধির দাবি জানায়। 

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সকল দাবি পূরণ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দাবি পূরণের কাজ শুরু করেছি আমরা। বাকি দাবিগুলো পূরণের জন্য তাদের কাছে আমরা সময় চেয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি আমাদের সকলের জন্য খুবই দুঃখজনক। আমরা সড়ক মেরামতে সকল ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি।

উল্লেখ্য, গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে দেবদারু রোডে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম ইফতীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ক্ষতিপূরণসহ ১০ টি দাবি নিয়ে বাকৃবি উপাচার্যের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন এবং দাবি বাস্তবায়নের জন্য ৪৮ ঘন্টা সময়সীমা দেন।


সর্বশেষ সংবাদ