গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় অভিভাবকদের কষ্ট লাঘবে পাবিপ্রবি প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ
- পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ০৪:১৭ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৪:৫৫ PM

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক) পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় পাবিপ্রবি প্রশাসন।
আজ শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিয়ারিং ভবন, এম এ ওয়াজেদ আলী মিয়া বিজ্ঞান ভবন ও মহুয়া ভবনে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শুরুর পর পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান।
এ বছর প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদের ভোগান্তি ও কষ্ট লাঘব করতে পাবিপ্রবি প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের শেডের নিচে বসার চেয়ার, ফ্যান, বিশুদ্ধ পানি, নাশতা ও মেডিকেল সেবার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের জন্যও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোয় পর্যাপ্ত পানির ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রচণ্ড গরমে এসব মানবিক উদ্যোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের মানবিক ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপের প্রশংসা করছে উপস্থিত পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
রাজশাহী থেকে আসা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আলাউদ্দিন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় নতুন হওয়া সত্বেও অবিভাবকদের জন্য আলাদা বসার জায়গা করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রচণ্ড গরমে ছায়া, ফ্যান আর বিশুদ্ধ পানির যে ব্যবস্থা করেছে তা আমাদের অনেক স্বস্তি দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভবনের নিচে সরকারি স্কুল, ওপরে সরকারি কলেজ— ‘পরাধীন’ এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গল্প
পাবনা থেকে আসা এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘সন্তানরা পরীক্ষার হলে থাকলে বাইরে আমরা অনেক টেনশনে থাকি। এখানে বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা থাকাতে সময়টা আরামে কেটেছে। এমন আয়োজন দেশে অন্যত্র খুব একটা দেখা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এ বিষয়ে পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘এখানে উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরাই বেশির ভাগ এসেছেন। প্রচণ্ড গরমে দূরদূরান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে বিশুদ্ধ খাবার পানি, বিস্কুট, বসার জায়গার, ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবার ব্যাবস্থা করেছি। পরবর্তী পরীক্ষাগুলোও সবার সহযোগিতায় পেলে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারব।’