বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পদ্মাসেতু নিয়ে জরুরি প্রশ্নোত্তর

ভর্তি পরীক্ষা
ভর্তি পরীক্ষা  © সংগৃহীত

পদ্মাসেতু হচ্ছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে টোল প্রদান করে প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মাসেতুতে আরোহণ করেন এবং এর মাধ্যমে সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়। জেনে নেওয়া যাক; গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় পদ্মাসেতু নিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন কিছু জরুরি প্রশ্নোত্তর বিষয়ে…… 

১. পদ্মা সেতুর অফিশিয়াল নাম ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু (The Padma Multipurpose Bridge)’

২. পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প (The Padma Multipurpose Bridge Project)’

৩. বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ২৮ এপ্রিল ২০১১ সালে ঋণচুক্তি হয় (১২০ কোটি মার্কিন ডলার)

৪. বিশ্বব্যাংক ৩০ জুন ২০১২ সালে চুক্তি বাতিল করে।

৫. ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পদ্মাসেতুর কাজ শুরু হয়। এছাড়া একই বছরের ১৭ জুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

৬. পদ্মাসেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।

৭. পদ্মাসেতু সংযোগকারী স্থান মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় এবং শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত।

৮. পদ্মাসেতু ২৯টি জেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করবে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমের ২১ জেলার সঙ্গে। 

৯. পদ্মাসেতু নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড-এর আওতাধীন চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

১০. পদ্মাসেতুতে থাকবে গ্যাস-বিদ্যুৎ অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ পরিবহন সুবিধা।

১১. পদ্মাসেতুর সংযোগ সড়ক ১৪ কিলোমিটার।

১২. পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুই পাড়ে ১২ কিলোমিটার নদী-শাসন হয়েছে। 

১৩. পদ্মাসেতুর নদী শাসনের কাজ পায় চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন।

১৪. পদ্মাসেতুর নকশা করেন AECOM (Architecture, Engineering, Consulting, Operation and Maintenance) 

১৫. পদ্মাসেতুর পাইল সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেয় কাউই (COWI) 

১৬. পদ্মাসেতুর তদারকির দায়িত্বে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। 

১৭. পদ্মাসেতু দ্বিতলবিশিষ্ট, কংক্রিট ও স্টিলের তৈরি

১৮. পদ্মাসেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার (২০২০০ ফুট)

১৯. পদ্মাসেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৯.৩০ কিলোমিটার (৩.১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক) 

২০. পদ্মাসেতুর প্রস্থ ১৮.১০ মিটার (৫৯.৪ ফুট, ৭২ ফুটের চার লেনের সড়ক)

২১. পিলার ৪২ টি। (প্রতিটি পিলারের জন্য পাইলিং ৬টি, তবে মাটি জটিলতার কারণে ২২টি পিলারের পাইলিং হয়েছে ৭টি করে, মোট পাইলিং ২৮৬টি, পাইলিং এর গভীরতা ৩৮৩ ফুট।)

২২. স্প্যান ৪১টি। (প্রতিটি ১৫০ মিটার)

২৩. প্রতিটি স্প্যানের ওজন ৩২০০ টন। স্প্যান বহনকারী জাহাজ তিয়ান-ই। (ধারণক্ষমতা ৩৬০০ টন)

২৪. প্রথম স্প্যান বসানো হয় ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর (৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের উপর)

২৫. ৪১তম অর্থাৎ শেষ স্প্যান বসানো হয় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর (বিশ্ব মানবাধিকার দিবস) (১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের উপর দুপুর ১২.০২ মিনিটে)

২৬. ৪১টি স্প্যান বসাতে সময় লাগে ৩ বছর ২ মাস ১০ দিন।

২৭. পদ্মাসেতুতে রেল লাইন স্থাপন হবে নিচতলায় অর্থাৎ স্প্যানের মধ্য দিয়ে। (মিটারগেজ ও ব্রডগেজ একই সময় যেকোনো একটি ট্রেন চলাচল করতে পারবে) 

২৮. পদ্মাসেতুর ভায়াডাক্ট ৩.১৮ কিলোমিটার।

২৯. পদ্মাসেতুর ভায়াডাক্ট পিলার ৮১টি।

৩০. ভূমিকম্প সহনশীল মাত্রা ৯ রিখটার স্কেল। 

৩১. পদ্মাসেতুর স্থানাঙ্ক ২৩.৪৪৬০ ডিগ্রী (উত্তর), ৯০.২৬২৩ ডিগ্রি (পূর্ব)। 

৩২. পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা ৬০ ফুট (১৮ মিটার)

৩৩. পদ্মাসেতুর কাছাকাছি সামরিক সেনানিবাস হচ্ছে পদ্মা সেনানিবাস।

৩৪. পদ্মাসেতুর কাছাকাছি থানা (২টি), পদ্মাসেতু উত্তর ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ।

৩৫. দীর্ঘতম সড়ক সেতু পদ্মাসেতু (পূর্বে ছিল যমুনা সেতু ৪.৮ কিলোমিটার, পিলার ৫০টি, স্প্যান ৪৯টি)

৩৬. পদ্মা সেতু, নদীর উপর নির্মিত বিশ্বের প্রথম দীর্ঘতম সেতু।

৩৭. পদ্মা সেতু, বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতু। 

৩৮. বৃহত্তম সড়ক সেতুর তালিকায় ২৫তম (এশিয়ায় ২য়)

৩৯. পদ্মাসেতুর শেপ হবে ‘S’ আকৃতির।

৪০. পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ করেছে প্রায় ৪ হাজার মানুষ।

৪১. পদ্মাসেতুর প্রয়োজনে ৯১৮ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। 

৪২. পদ্মাসেতুতে মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

৪৩. টোল আদায় করে ব্যয় উঠাতে ৩৫ বছর সময় লাগবে। 

৪৪. আয়ুষ্কাল ১০০ বছর ধরা হয়েছে। 

৪৫. জিডিপি বৃদ্ধি পাবে ১.২৩ শতাংশ

৪৬. পদ্মাসেতু রক্ষণাবেক্ষণ করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (BBA অর্থাৎ The Bangladesh Bridge Authority)

৪৭. পদ্মাসেতুর ওয়েবসাইট এড্রেস (www.padmabridge.gov.bd)

৪৮. পদ্মাসেতুতে মানুষের মাথা লাগবে এই গুজব উঠে জুলাই, ২০১৯। 

৪৯. সেতু উদ্বোধন ২৫ জুন, ২০২২। (বাংলায় ১১ আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ) (আরবি= ২৫ জিলক্বদ, ১৪৪৩ হিজরি)

৫০. পদ্মাসেতুর অবস্থান ৩টি জেলায়। জেলাগুলো হলো- মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর।