প্রধানমন্ত্রীর পর প্রথম টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার ঢাবির দুই ছাত্রের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২২, ০৪:১৪ PM , আপডেট: ২৬ জুন ২০২২, ০৪:১৪ PM
সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য আজ রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে পদ্মা সেতু। সেতুর মাওয়া প্রান্তে টিকিট কেটে মোটরসাইকেল করে প্রথম পার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী চৌধুরী শামীম আফফান ও জালাল উদ্দিন।
তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র। থাকেন মাস্টারদা সূর্যসেন হলে। চৌধুরী শামীম আফফানের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর শহরে, জালালের বাড়ি পাবনা জেলায়।
দুই বন্ধু ১৫ মিনিটে পদ্মা সেতু পার হয়ে জাজিরা প্রান্তে আসেন। এই বিশেষ মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে সেতুর সঙ্গে নিজেদের ছবি তুলেছেন, ভিডিও করেছেন। স্বপ্নের সেতুতে প্রথমবার সবার আগে উঠতে পেরে তারা দুজন খুব খুশি।
পদ্মা সেতু পার হয়ে শামীম তার ফেসবুকে টোল প্লাজা থেকে পাওয়া রসিদের ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরে টোলধারী হিসেবে পদ্মা সেতুতে প্রথম পদার্পণ।
আর জালাল তুলে ধরছেন প্রথম টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হওয়ার গল্পটা। তিনি লিখেছেন, এই প্রথম হওয়ার নেশায় সারারাত না ঘুমিয়ে কাটাতে হলো, রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা এই সময়ের মধ্যে দুইবার ঢাকা টু মাওয়া আপ-ডাউন করতে হলো।
“কতটা ভাল লেগেছে প্রথম হওয়াতে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। বিশ্ব ব্যাংক, অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থা এবং সমালোচকদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক চ্যালেঞ্জ আজ বাস্তবে রুপ নিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গসহ দেশের সবার মনের চাওয়া পূর্ণ হয়েছে। সমালোচনার উর্ধ্বে অবশ্যই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার ভালবাসা পাওয়ার মত একটা মহৎ কাজ করেছেন, এজন্য তাকে মন থেকে একটা ধন্যবাদ দিতে চাই। ধন্যবাদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপা।”
সরকারের নির্ধারণ করা টোল হার অনুযায়ী, ছোট বাসে এক হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে দুই হাজার টাকা এবং বড় বাসে দুই হাজার ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। ছোট ট্রাকের টোল এক হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে দুই হাজার ১০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা, বড় ট্রাকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। পিকআপের টোল এক হাজার ২০০ টাকা। কার ও জিপের টোল ধরা হয়েছে ৭৫০ টাকা, মাইক্রোবাসে এক হাজার ৩০০ টাকা এছাড়া মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা।
এর আগে গতকাল শনিবার (২৬ জুন) পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে যুগান্তকারী সাফল্য।