৯২২ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন ঢাবির
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২২, ০৪:৪৩ PM , আপডেট: ১৬ জুন ২০২২, ০৪:৪৩ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেট অধিবেশনে উত্থাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দীন আহমেদ।
উত্থাপিত বাজেটে দেখা যায়, ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বাজেট থেকে ৬৭১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশন খাতে। যা মোট ব্যায়ের ৭২.৮৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বিকাল ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে বার্ষিক অধিবেশন শুরু হয়। উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান এই অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।
কোষাধ্যক্ষ উত্থাপিত বাজেটে দেখা যায়, এবারের মূল বাজেট ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেতন-ভাতা এবং পেনশন বাবদ ব্যায় হবে ৬৭১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, গবেষণা মঞ্জুরী খাতে ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, অন্যান্য অনুদান বাবদ ৩৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, পণ্য ও সেবা খাতে ১৭৯ কোটি ৯৯ লাখ ৮ হাজার টাকা এবং মূলধন খাতে ব্যায় হবে ২১ কোটি ৯৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (বিমক) দিবে ৭৮১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা আর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৮৩ কোটি টাকা। যা শিক্ষার্থীদের থেকে ফি, ভর্তি ফর্ম বিক্রি, বেতন ভাতাদি থেকে কর্তন, সম্পত্তি এবং বিবিধ থেকে আয় হবে। সে হিসেবে বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ১২ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা কম।
আরও পড়ুন: ঢাবির সিনেটে বাজেট অধিবেশন চলছে
এ বছর শিক্ষার্থীদের থেকে ফি বাবদ আয়ের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ভর্তি ফর্ম বিক্রি থেকে আয়ের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, বেতন ভাতাদি থেকে কর্তনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ২০ লাখ টাকা, সম্পত্তি থেকে আয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং বিবিধ থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
বাজেটে ঘাটতির বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয়। কাজেই নিজস্ব তহবিল থেকে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে না। প্রতি বছর এভাবে তহবিলের ঘাটতি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে অথবা সরকারের কাছ থেকে বিশেষ অনুদান চাওয়া যেতে পারে।
ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও একাডেমিক ভবন মেরামত ও সংস্কারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (বিমক) একটি বিশেষ তহবিল প্রদান করেছেন যেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। কোষাধ্যক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাদ্দাম হোসেন ও তিলোত্তমা শিকদার। তবে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এই অধিবেশন বর্জন করেন।
অধিবেশনের শুরুতে করোনাকালে মারা যাওয়া স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ ও নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর উপাচার্যের অভিভাষণের মাধ্যমে শুরু হয় বার্ষিক অধিবেশনের মূল কর্মসূচি। উপাচার্যের অভিভাষণের পর কোষাধ্যক্ষ বাজেট উপস্থাপন করেন।