ঢাবি শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২২, ০৫:২৫ PM , আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২২, ০৫:২৫ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান সজীবকে ছাত্রলীগ নেতা অতনু বর্মণের মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় অতি দ্রুত এই ঘটনার প্রশাসনিক, সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে বিচার চাই বিচার চাই অতনু বর্মণের বিচার চাই; সজীবের উপর হামলা কেন? বিচার চাই; দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই; হামলাকারী অতনু বর্মণের বিচার চাই ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী মিয়া বলেন, একজন ছাত্র নেতা কেন বানানো হয়? ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলবে; ছাত্রদের পক্ষে কথা বলবে। তিনি যে কাজটি করেছেন আমরা ছাত্রসমাজ তার কাছে অনিরাপদ হয়ে গেলাম। অতনু বর্মণের মতো যারা ছাত্রসমাজের শত্রু তারাই দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু।
আরও পড়ুন: ভিসি-প্রো-ভিসি যোগ দিয়ে বললেন ‘পাবিপ্রবি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়’
ভুক্তভোগী সজীবের বিভাগের বন্ধু নাজমুল আলম বলেন, এখানে দুর্বলের উপর সবলের আঘাত করা হয়েছে। আমরা একজন নেতার আগ্রাসী মনোভাব লক্ষ করেছি। সজীব খুবই শান্তশিষ্ট ভদ্র একটি ছেলে। ও কোনদিন কারো সাথে কোন ঝামেলায় জড়ায় নাই। তার উপর ন্যাক্কারজনক হামলা মেনে নেয়া যায় না।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এনামুল বলেন, একটি স্বায়ত্বশাসিত ক্যাম্পাসে একজন ছাত্র নেতা দ্বারা এরকম একটি হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা সবাই ক্যাম্পাসে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে চাই। কারো দ্বারা যাতে হামলার শিকার না হই। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অতি দ্রুত বিচার দাবী করছি। না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন: কাল বৈশাখী ঝড়ে ঝুলে গেছে শাবিপ্রবির ফটকের নামফলক
অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শাহরিয়ার শহীদ শুভ বলেন, ছাত্রলীগ নেতা অতনু বর্মণের নির্দেশেই সজিবের উপর অতর্কিত হামলা হয়। যারা আজকে নেতা হয় তারা আমাদের শক্তি বলে নেতা হয়। কিন্তু নেতা হওয়ার পরেই যদি আমাদের উপরেই তারা আক্রমণ করে তাহলে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। আমরা অতি দ্রুত এই ঘটনার বিচার দাবি করছি।
প্রসঙ্গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টার দিকে ফুলার রোডের উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাইকে রাস্তার মোড় ঘুরাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে বিশ জনের মতো ছাত্রলীগ কর্মী সজিবকে ব্যাপক মারধর করে। অভিযুক্ত অতনু বর্মণ জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী হিসেবে পরিচিত অতনু বর্মণ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অতনু বর্মণ বলেন, ‘উল্টোদিক থেকে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। আমার পরিচয় পাওয়ার পর ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমি একা ছিলাম, সঙ্গে কেউ ছিল না।’
এ সময় হাসপাতালে সজীবের চিকিৎসার কথা বলা হলে অতনু বর্মণ বলেন, ‘আমি যাওয়ার পর তার সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে তা জানি না। তবে আমি কোনো মারধর করিনি।’