রাবি শিক্ষকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, ২ বহিরাগত আটক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সঙ্গে দুই জন বহিরাগতের দূর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (২ এপ্রিল) রাত আটটায় শেখ রাসেল স্কুল রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো. জুলফিকার হোসেন এবং মো. মোজ্জেম হোসেন নামের দুই বহিরাগতকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। তারা দুজনই বিনোদপরের বাসিন্দা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর দফতর সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত আটটায় দুজন শিক্ষক ঝালমুড়ির দোকানের সামনে ছিলেন। সেখানে হঠাৎ দুজন বহিরাগত মোটরসাইকেলে করে তাদের সামনে আসে এবং শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার শুরু করে। এরপর কথপোকথন শেষে শিক্ষক দুজন সেই জায়গা থেকে চলে আসেন। কিন্তু তাদের পিছু নেন বহিরাগত জুলফিকার ও মোজ্জেম।

একপর্যায়ে শিক্ষকগণ তাদের সন্দেহজনক মনে হলে ওই দুজনের গাড়ির চাবি নিয়ে নেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.মো. আসাবুল হককে জানান।

আরও পড়ুন: দুই ছাত্রকে মারধর করায় ৬ ছাত্রলীগ কর্মী হল থেকে আজীবন বহিষ্কার

প্রক্টর ওই দুই বহিরাগতকে আটক করে প্রক্টর দফতরে নিয়ে আসেন ও ঘটনার বিবরণ শুনেন। বহিরাগত দুজন তাদের অপরাধ স্বীকার করে ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ওই দুজনকে আইনের কাছে সোপর্দ করতে চাইলে তারা মিনতি করে জানান যে, তারা মালেশিয়ায় পড়াশোনা করেন। এসময়ে আইনের সাথে জড়ালে তাদের অনেক ক্ষতি হবে। প্রক্টর অফিসে উপস্থিত ছিলেন ওই দুই শিক্ষকও। সবার সর্বসম্মতিক্রমে একটি মুচলেকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী মো. সুমনের জিম্মেদারীতে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, একইসঙ্গে তাদের পাসপোর্ট ও নাগরিক আইডি জব্দ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে সন্তোষজনক পরিস্থিতিতে সেগুলো ফেরত দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করা হয়।

অভিযুক্ত জুলফিকার হোসেন মুচলেকায় জানান, আমি প্রক্টর অফিসে এসে মিথ্যা বর্ণনা দিয়ে এটা একটা জঘন্য অপরাধ কাজ করেছি। এটার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। আমি ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যম্পাসে প্রবেশ করবো না। এরপরে যদি কোন অপরাধ কাজ করে থাকি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেবে আমি তা মেনে নেবো।


সর্বশেষ সংবাদ