বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকার সনদ আছে কিনা, দেখবে কে?

করোনাভাইরাসের টিকার সনদ
করোনাভাইরাসের টিকার সনদ  © প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ কমে আসায় তুলে নেওয়া হয়েছে বিধিনিষেধ। এক মাস বন্ধ থাকার পর খুলতে শুরু করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আজ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম ধাপে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে মার্চের শুরুতে।

এদিকে যে শিক্ষার্থীরা করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ নিয়েছে, খুলে দেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আপাতত কেবল তারাই ক্লাসে যাওয়ার কথা। সরকারের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হলেও বাস্তবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীদের সনদ আছে কিনা তা দেখা তো দূরের কথা, কর্তৃপক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের এ ধরনের কোন নির্দেশনাই দেওয়া হয়নি। তবে তারা স্বাস্থ্যবিধি মানতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন তারা।

গত শনিবার (১৯) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বর্ষের ক্লাস মঙ্গলবার থেকে সশরীরে চালু হবে। সকলকে আবশ্যিকভাবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদেরকে করোনা টিকা নেওয়ার সনদ সঙ্গে রাখার জন্য আহবান জানানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিভাবে দেখছেন, সনদ যাচাই করছেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, সনদ যাচাইয়ের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।

ক্লাসে আসার আগে করোনা টিকা সনদ যাচাই করা হবে কিনা জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক যে বিজ্ঞপ্তি আমরা পেয়েছি তাতে টিকা সনদ যাচাইয়ের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এজন্য এ ব্যাপারটিকে আমরা আপাতত বিবেচনায় নিচ্ছি না।

“তবে ক্লাসরুমে অবশ্যই স্বাস্থবিধি মানতে হবে এবং মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেনা। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিকা কে কে নিয়েছে আর কে নেয়নি তার সব তথ্যই আমাদের কাছে রয়েছে।”

৩৩ দিন বন্ধ থাকার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও সশরীর ক্লাস শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে প্রাণ ফিরে পায় ক্যাম্পাস। এদিন পূর্বঘোষিত অনুযায়ী, সকাল থেকে সব বিভাগে ক্লাস শুরু হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ছিল শিক্ষার্থীদের ভিড়। ক্লাসরুমগুলোতেও ৮০% শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। 

শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম জানান, আমরা সিটি করপোরেশনের সাথে কথা বলেছি। পূর্বের ন্যায় আবার আমরা বিশ্বিবদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে টিকা না পাওয়া শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করব। এটা খুব শিগগির শুরু হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনের আলোকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আবার ওমিক্রনের সংক্রমণ হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদ ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আরো দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল।


সর্বশেষ সংবাদ