ঢাবি হলের নাম থেকে জিয়াউর রহমান বাদ দিল ছাত্রলীগ

জিয়াউর রহমান হল ও লোগো
জিয়াউর রহমান হল ও লোগো  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৮টি হল কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত কমিটির প্যাডে সব হলের নাম ঠিক থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে ‘জিয়াউর রহমান’ বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ফজলুল হক মুসলিম হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে। এনিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্যাডে কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম লেখা হয়। কমিটি অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের জায়গায় মুক্তিযোদ্ধা হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের জায়গায় শুধু সলিমুল্লাহ হল ও ফজলুল হক মুসলিম হলের জায়গায় ফজলুল হক হল লেখা হয়েছে। সম্প্রতি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের হল শাখাগুলোর সমন্বিত হল সম্মেলনেও ব্যবহৃত ফেস্টুন ও বিজ্ঞপ্তিতে খণ্ডিত নামগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটিতে বিতর্কিতরা

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, এই নামটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ ব্যবহার করে না। তিনি একজন স্বৈরশাসক। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। এছাড়া আমাদের আদালত ঘোষিত একজন অবৈধ শাসক।

তিনি বলেন, যিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন, সংবিধানকে পশ্চাৎপদ করেছেন এমন একজনের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে কোনো হলের নাম থাকবে শিক্ষার্থীরা সেটি মেনে নেয় না। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের যে বহিঃপ্রকাশ আমরা আমাদের নামকরণে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছি।

মুসলিম শব্দ বাদ দেয়া প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এটা সংক্ষেপে লেখার কারণে হয়েছে। অনেক সময় আমরা নাম সংক্ষেপে লিখি। সংক্ষেপে লিখতে গিয়ে মুসলিম শব্দটি বাদ পড়ে গেছে।

আরও পড়ুন: সুইসাইড নোট- ‘বাসায় মরে এক সপ্তাহ পড়ে থাকলেও কেউ জানবে না’

এদিকে হলের নাম বিকৃতির ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রাকিবুল ইসলাম নামে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাবি কমিটির লিখিত প্যাডে প্রতিটা হলের সম্পূর্ণ নাম থাকলেও ‘সলিমুল্লাহ মুসলিম হল’, ‘ফজলুল হক মুসলিম হল’ গুলোর ক্ষেত্রে তারা মুসলিম শব্দটি ইচ্ছে করে বাদ দিয়ে চরম লেভেলের হিপোক্রেসির প্রমাণ দিয়েছে। যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো পূর্ব বাংলার মুসলিম জনতার পিছিয়ে যাওয়া রোধ করে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটি থেকে মুসলিম শব্দটা বাতিল করে দেওয়া কি চরম লেভেলের মুসলিম বিদ্বেষ নয়?

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের নাম পুরো না লিখায় সমালোচনা করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা লিখেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা এই দুই শব্দের মিলিত প্রতিশব্দ হচ্ছে জিয়াউর রহমান।


সর্বশেষ সংবাদ