ছেলেকে পাবো না, শিক্ষার্থীদের সব দাবি পূরণ করবো: রাবি ভিসি

অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার
অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার  © সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, মাহমুদ হাবিব হিমেল নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সবকটি দাবি পূরণ করা হবে। বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় হিমেলের জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।

আবেগজড়িত কণ্ঠে উপাচার্য বলেন, সন্তানহারা পিতার জন্য এই মুহূর্তে কিছু বলা সত্যিই কঠিন। পিতার পিঠে সন্তানের লাশের বোঝা যে কতটা ভারী! কথা ছিল আমার লাশ আমার সন্তানের কাঁধে উঠবে। কিন্তু পিতাকেই সন্তানের লাশ কাঁধে নিতে হচ্ছে। আমার শোক জানানোর ভাষা নেই।

আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থী হিমেলের দাফন সম্পন্ন

তিনি বলেন, আমি তো আর আমার ছেলেকে ফেরত আনতে পারবো না। কিন্তু আমরা তার পরিবারের ক্ষতিপূরণসহ শিক্ষার্থীরা অন্যান্য যেসব দাবি জানিয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে সহমত পোষণ করছি। তাদের প্রত্যেকটি দাবিই পূরণ করা হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- নিহতের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিহতের বোনকে চাকরি দিতে হবে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাল্টাতে হবে, প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং হিমেল নিহতের ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিচার করতে হবে।

আরও পড়ুন: রাবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হিমেলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা হিমেলের মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছি। আজকের মধ্যে তাকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে এবং পর্যায়ক্রমে আরো ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করা হবে।

এদিকে, আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর সদরের গাড়িখানা কেন্দ্রীয় গোরস্তানে রাবি শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেলের তাকে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে হিমেলের মরদেহ দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নাটোর শহরের কাপুড়িয়া পট্টি নানাবাড়ি এলাকায় পৌঁছে।

মরদেহের সাথে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। মরদেহ নেয়া হয় স্থানীয় একটি স্কুল প্রাঙ্গণে। এ সময় নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, পৌর মেয়র উমা চৌধুরী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ