ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু: স্বামী ইফতেখার ফের দুই দিনের রিমান্ডে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৩২ PM , আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৩২ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এলমার চৌধুরী মেঘলাকে হত্যার অভিযোগে বনানী থানায় করা মামলায় তার স্বামী ইফতেখার আবেদীনের ফের আরও দুই দিনের রিমান্ড রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিবের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: ‘শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আঘাত করা হয়নি’
তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সালাউদ্দিন মোল্লা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, তিন দিনের রিমান্ডে পেয়ে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।চতুরতার সাথে ঘটনার নানা বিষয় গোপন করেছে এলমার স্বামী। ঘটনায় জড়িত পলাতক আরও দুই আসামির বিষয়ে ইফতেখার সুকৌশলে গোপন করেছে।
আরও পড়ুন: স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিল মেঘলার, বাধ্য করতেন ভিডিও কলে থাকতে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এলমার মামলাটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। সারাদেশে মামলাটি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। আসামিকে আরও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে। এজন্য তার পুনরায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এ সময় প্রথমে বনানী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
তিনি বলেন, ‘এ মামলার ভিকটিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এলমা। আসামিরা ভিকটিমকে পড়াশোনা বন্ধ করতে বলেন। বন্ধ না করায় প্রথমে তার চুল কেটে দেয়া হয়। তারপরও ভিকটিম পড়ালেখা চালিয়ে যায়। এলমার স্বামী ইফতেখার কানাডা থেকে আসে। এরপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা ভিকটিমকে হত্যা করে। কে, কীভাবে হত্যা করেছে তা জানার জন্য আসামির সর্বোচ্চ রিমান্ডের প্রার্থনা করছি।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পরিচয়-প্রেম, বিয়ের ৬ মাস না যেতেই লাশ হলেন ঢাবি ছাত্রী
এরপর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউর মো. শামসুর রহমান বলেন, ‘শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে এলমাকে আঘাত করা হয়নি। এমনভাবে টর্চার করে এলমাকে হত্যা করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ডিসেম্বর এলমার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই এলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় এলমার স্বামী, শ্বশুড় ও শ্বাশুড়িকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গত ১৫ ডিসেম্বর আসামি ইফতেখারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।