খুলছে ঢাবির গ্রন্থাগার, চাকরিপ্রত্যাশীদের পড়ার সুযোগ থাকছে না

করোনায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা
করোনায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা  © টিডিসি ফটো

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি খুলে দেয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার্থীরাই লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন। যারা অন্যান্য বর্ষের বা যাদের মাস্টার্স শেষ হয়েছে ইতোপূর্বে তাদের জন্য আপাতত লাইব্রেরি ব্যবহারের সুযোগ থাকছে না। এর ফলে চাকরিপ্রত্যাশীদেরও লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়ার সুযোগ থাকছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. নাসিরউদ্দিন মুন্সী আজ বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি খুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিভাগের সেমিনারগুলোও খুলে দেওয়া হবে।

তবে লাইব্রেরিগুলো খুলে দেওয়া হলেও কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষ কিছু নিয়ম করা হচ্ছে গ্রন্থাগার পরিচালনার ক্ষেত্রে। সপ্তাহে পাঁচদিন অর্থ্যাৎ রবি থেকে বৃহস্পতিবার খোলা থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়টির লাইব্রেরি।

পড়ুন: বন্ধ শাহবাগের গণগ্রন্থাগার, কখনো উদ্যানে কখনো মসজিদে বিসিএস শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও সেমিনার গ্রন্থাগারগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। শিক্ষার্থীরা বাইরের বই নিয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র গ্রন্থাগারের রেফারেন্স বই ব্যবহার করতে পারবেন। কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গ্রন্থাগার ফটকে হ্যান্ড স্যানিটাইজ এবং তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করানো হবে।

এর আগে, গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার খুলে দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। এরপরের দিন এটি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অনুমোদন দেয়া হয়।

অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন বলেন, শুধুমাত্র অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার্থীরা ন্যূনতম একডোজ টিকা গ্রহণের প্রমাণ এবং বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শনপূর্বক গ্রন্থাগার ব্যবহার করতে পারবেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ৯০০ জনের ও বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে ৫০০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই শিফটে শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগার ব্যবহারের নির্দেশনা থাকবে।

বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের বাইরের বারান্দায় নিজ উদ্যোগে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা চেয়ার–টেবিল নিয়ে নিয়মিত পড়াশোনা করেন। গত বছরের নভেম্বর থেকেই নিজ উদ্যোগে বিজ্ঞান গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে নিয়মিত পড়াশোনা করছেন তারা।

এ বিষয়ে গ্রন্থাগারিক নাসিরউদ্দিন বলেন, যারা এদের মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছেন, শুধুমাত্র স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার্থী তারাই লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবে। যারা অন্যান্য বর্ষের বা যাদের মাস্টার্স শেষ হয়েছে ইতোপূর্বে তাদের জন্য আপাতত লাইব্রেরি ব্যবহারের সুযোগ থাকছে না।


সর্বশেষ সংবাদ