ঢাবি ছাত্র হাফিজের মৃত্যু

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠার পর শাহবাগ থানার ওসিকে বদলি

ওসি মামুন অর রশিদ ও ঢাবি ছাত্র হাফিজ
ওসি মামুন অর রশিদ ও ঢাবি ছাত্র হাফিজ  © সংগৃহীত

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনার পর রাজধানীর শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদের নেতৃত্বাধীন শাহবাগ থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। এরপর ওসি মামুন অর রশিদকে বদলি করা হয়েছে। এই থানায় ওসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মাত্র ১০ মাসের মাথায় বদলি করা হল তাকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) টুটুল চক্রবর্তীর স্বাক্ষর করা আদেশে মোহাম্মদ মামুন অর রশিদকে শাহবাগ থানা থেকে ডিএমপির ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগে বদলি করার কথা জানানো হয়।

শাহবাগ থানার ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এত দিন চকবাজার থানার ওসির দায়িত্বে থাকা মওদুত হাওলাদারকে। আর চকবাজার থানার দায়িত্ব পেয়েছেন ডিএমপির পরিবহন বিভাগের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আবদুল কাইউম। 

৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২৩ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র হাফিজুরের লাশ শনাক্ত করে পরিবার। শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশিদ তখন বলেছিলেন, হাফিজুর দায়ের কোপে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। হাফিজুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিভিত্তিক সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। ১৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় ফেরেন তিনি। সেদিন সন্ধ্যা থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

লাশ শনাক্তের পর এ নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। ২৪ মে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ করেন, হাফিজুর রহমানের ঘটনায় পুলিশ পেশাদারত্বের পরিচয় দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারাও হাফিজুরের ঘটনায় তখন শাহবাগ থানা-পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে মামুন অর রশিদের বিষয়ে আপত্তি তোলেন বলে জানা গেছে। সর্বশেষ ‘পেশাগত আচরণ’ নিয়ে তাঁকে শোকজ করা হয় বলে শাহবাগ থানার একটি সূত্র জানিয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ