সম্পর্কের টানাপোড়েনে রাবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

  © সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ছাত্রী মোবাসসিরা তাহসিন ইরার আত্মহত্যার পেছনে প্রেম সংক্রান্ত ব্যাপার রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন পুলিশ। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকার একটি ছাত্রীনিবাস থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে মতিহার থানা পুলিশ।

ইরার বাড়ি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায়। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও মা একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন বোনের মধ্যে ইরা দ্বিতীয়।

তদন্ত কর্মকর্তা ও মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিউলি খানম বলেন, আমরা জানতে পেরেছি প্রেমঘটিত কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগের ছাত্রীনিবাসে কারো সঙ্গে মোবাইল ফোনে উচ্চস্বরে কথা বলেছেন, এমন তথ্য জেনেছি। তার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার সঙ্গে কী ধরনের কথাবার্তা হয়েছে এবং মোবাইলের কল রেকর্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব থেকে আরো তথ্য জানা যাবে।

ইরার পরিবারও বলছে, তিনি প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার (৩১ জানুয়ারি) তার বাবা-মায়ের সঙ্গে মরদেহ নিতে রাজশাহীতে আসেন ভগ্নিপতি ইজাজ আহমেদ। তিনি বলেন, গতরাতে ইরার এক বান্ধবী ফোন করে জানায় সে আত্মহত্যা করেছে। ইরার সঙ্গে সাব্বির নামের এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি থাকেন চট্টগ্রামে। তাদের প্রেমের সম্পর্কে ঝামেলা চলছিল, কিন্তু আত্মহত্যা করবে এমনটা আমরা কখনো ভাবিনি।

তিনি আরো বলেন, ইরার সঙ্গে ওই ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ৩-৪ বছরের। সে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজে পড়তো। ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবাদে হয়তো ওই ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান।

ছাত্রীনিবাসে থাকা এক ছাত্রী বলেন, তাদের সম্পর্কে প্রায়ই ঝামেলা হতো। মাঝে মাঝেই তারা ঝগড়া করতেন। ইরা এ নিয়ে হতাশায় থাকতেন, মন খারাপ করে থাকতেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রবিবার ইরার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। পরে মরদেহ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence