জাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ফৌজদারি অপরাধী মুক্ত রাখার আহ্বান ছাত্র ইউনিয়নের

  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্রার্থীতা মনোনয়ন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্রের প্রতি সহিংস জুলাই হামলাকারী ও ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীলতায় জড়িতদের জাকসু থেকে দূরে রাখার আহ্বান জাবি ছাত্র ইউনিয়নের। শুক্রবার (২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি অমর্ত্য রায় এবং সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী এ আহ্বান জানান। 

এতে তারা জাকসু নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, “দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তফশিল ঘোষণাকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ সাধুবাদ জানাচ্ছে। আমরা মনে করি, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অচলায়তনের অবসানের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে এবং দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের সরাসরি প্রতিনিধিত্ব ও নেতৃত্বের সুযোগ তৈরি করেছে। আমরা গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, জাকসুর বর্তমান গঠনতন্ত্রে আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ধারা ৩.৪, ৩.৬, ৩.৯, ৩.১০, ৩.১১ ও ৩.১২ বিবেচিত হয়েছে। এই সংস্কারগুলো ছাত্র সংসদকে আরও কার্যকর, অংশগ্রহণমূলক ও জবাবদিহিমূলক করে তুলবে। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গঠনতন্ত্রে এখনো কিছু প্রশ্নবিদ্ধ ও অস্পষ্ট দিক রয়ে গেছে যা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে।” 

বিবৃতি তারা আরো বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল এ দেশের ছাত্ররাজনীতির এক প্রগতিশীল বাঁক। সেই ঐতিহাসিক গণপ্রতিরোধে যারা হামলা চালিয়েছিল, যারা প্রগতি ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সহিংস রূপ নিয়েছিল, এবং যারা ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে ক্যাম্পাসের পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে ভূমিকা রেখেছিল- তাদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের প্রতি চরম অপমান। আমরা গভীর হতাশা ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, সেই সহিংস ঘটনাসমূহের  অভিযুক্তদের কেউ কেউ প্রশাসনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগ্রহণ পর্বে অংশগ্রহণ করেছে, আবার ক্যাম্পাসে গর্বভরে পুনরাগমনও করেছে। এই ঘটনা গণতন্ত্রের নামে চরম দ্বিচারিতা এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি অবমাননার শামিল।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, “আমরা বিশেষভাবে দাবি করছি- ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত, বিচারাধীন ব্যক্তি কিংবা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলায় যুক্ত কেউ যেন কোনোভাবেই জাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন– এমন বিধান অবিলম্বে গঠনতন্ত্রে যুক্ত করতে হবে। এছাড়া তারা ৩ দফা দাবি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। 

দাবিগুলো হলো- বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোনো ফৌজদারি মামলার আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারীদের নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও নির্দিষ্ট দায়িত্ব নিশ্চিত করতে সংশোধিত নীতিমালা ঘোষণা করতে হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence