চাহিদার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে কারিকুলাম পরিবর্তন দরকার: অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সম্মাননা ২০২৫’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সম্মাননা ২০২৫’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়েমা হক বিদিশা   © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা বলেছেন, এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে, পরবর্তীতে আসছে পঞ্চম শিল্প বিপ্লব—এগুলোর জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হলে, এখনই শিক্ষার কারিকুলাম পরিবর্তন করা দরকার। বর্তমান বাজারের চাহিদার সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার জন্য যে উপকরণগুলো দরকার, আমরা যেন তাদের সেটি দিতে পারি, সেই বিষয়গুলোর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আজ শুক্রবার (২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সম্মাননা ২০২৫’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বাজেটের খাতগুলোর বাস্তবায়ন ধীরগতিতে হয়। কয়েকবছর ধরে এ বিষয়ে বারবার বলে আসছি। অথচ উন্নত দেশ তো বটেই, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষার রিসোর্স এলাবোরেশন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

আরও পড়ুন: চার মাসে সাতচল্লিশ দিনই আংশিক-পূর্ণ বন্ধ; বাধাগ্রস্ত নিরবচ্ছিন্ন পড়ার সুযোগ

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতগুলোর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ মনোযোগ অন্যদিকে সরানো যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাওয়া ও তাদের মতামতের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে শিক্ষকদের। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার সাথে কিভাবে উচ্চ শিক্ষাকে যুক্ত করা যায়, সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ শিক্ষার কাঠামোকে সাজাতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে, পরবর্তীতে আসছে পঞ্চম শিল্প বিপ্লব—এগুলোর জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হলে, এখনই শিক্ষার কারিকুলাম পরিবর্তন করা দরকার। বর্তমান বাজারের চাহিদার সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার জন্য যে উপকরণগুলো দরকার, আমরা যেন তাদের সেটি দিতে পারি, সেই বিষয়গুলোর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। 

অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীদের যে জায়গাগুলোতে কাজের সুযোগ রয়েছে সেই জায়গাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ শিক্ষাকে সাজাতে হবে। এটি এমনভাবে সাজাতে হবে, যেন আমাদের শিক্ষার্থীদের আকাশটা তাদের সীমানা হয়ে দাঁড়ায়। তা যদি করতে পারি, তাহলে আজকের আলোচনা সফল হবে। শিক্ষার্থীরা যখন আকাশ ছুঁতে পারবে, তখনই মনে করব আমরা সফল।


সর্বশেষ সংবাদ