ঢাবিতে নববর্ষ শোভাযাত্রায় যা যা থাকছে

শোভাযাত্রা
শোভাযাত্রা  © ফাইল ফটো

আসন্ন বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের অন্যতম আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে মঙ্গল শব্দটি বাদ দিয়ে পুনরায় ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ করা হবে। এবার স্বৈরাচারের মুখাকৃতির প্রতীকী ভাস্কর্য ছাড়াও থাকছে সাতটি মোটিফ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

নববর্ষে ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান- শ্লোগানে প্রস্তুত হচ্ছে চারুকলা। এবার বর্ষবরণের শোভাযাত্রার জন্য সাতটি মোটিফ প্রস্তুত করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির, জাতীয় মাছ ইলিশ, কাঠের বাঘ, ৩৬ জুলাই (টাইপোগ্রাফি), শান্তির পায়রা, ঐতিহ্যবাহী বাহন পালকি ও মুগ্ধর পানির বোতল। 

এছাড়াও এবারের আয়োজনে প্রথমবারের মত থাকছে পট চিত্র। গাজীর পট, বনবিবি, বেহুলা লখিন্দর, মোগল আমল ও জুলাই বিপ্লব নিয়ে ১০০ ফুট দীর্ঘ পট চিত্র তৈরি হচ্ছে। বাংলা নববর্ষ যে সম্রাট আকবরের আমল থেকে শুরু হয়েছে, আকবরের একটা সিরিজ থাকবে। এভাবেই ২০ ফিট করে ১০০ ফিটের একটা র‍্যালিতে যাবে।

মাঝারি মোটিফ হিসেবে থাকবে, সুলতানি ও মোগল আমলের মুখোশ ১০টি, রঙিন চরকি ২০টি, তালপাতার সেপাই ৮টি, তুহিন পাখি ৫টি, পাখা ৪টি, ঘোড়া ২০টি ও লোকজ চিত্রাবলীর ক্যানভাস থাকবে ১০০ ফুটের।

ছোট মোটিফ হিসেবে থাকছে, ফ্যাসিবাদের স্বৈরাচারের মুখাকৃতি ৮০টি, বাঘের মাথা ২০০টি, পলো ১০টি, মাছের চাই ৬টি, মাথাল ২০টি, লাঙল ৫টি ও মাছের ডোলা ৫টি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।   

আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চারুকলা প্রাঙ্গণে বর্ষ বিদায় ও বরণে তিন দিন ব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

নতুন নামের ঘোষণা দেন চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রমুখ। 


সর্বশেষ সংবাদ