ঢাবির মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের ৮ এপ্রিলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ

  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থীর মাস্টার্সের ফল প্রকাশ হয়েছে, তাদের আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য সুষ্ঠুভাবে সিট বরাদ্দের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের যেসব শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, তাদের ৮ এপ্রিলের মধ্যে হল ছাড়তে বলা হয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থীর মাস্টার্স পরীক্ষা হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে হল ছাড়তে হয়, সেখানে মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর হল ছাড়তে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিন চার মাস বেশি হলে থাকতে পারবেন।

জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভার পর চলতি মাসে আরও একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার পরপরই প্রতিটি হলে নোটিশ আকারে এই নির্দেশনা টাঙিয়ে দেয় হল প্রশাসন।

এদিকে ঢাবির শেখ মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা ইতোমধ্যে হলে এই নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছেন এবং হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে গিয়ে আবাসিক শিক্ষকরা বিষয়টি অবহিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ও স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য সিট নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ছিল, পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর হলের সিট ছেড়ে দেওয়া কিন্তু বিভিন্ন দিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরীক্ষা শেষ হবে, ফলাফল প্রকাশ হবে এরপর হল ছাড়বে শিক্ষার্থীরা। এতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একজন শিক্ষার্থী তিন থেকে চার মাস বেশি হলে থাকতে পারবেন। যেখানে পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর্যন্ত থাকার নিয়ম। সেখানে আমরা নানা মানবিক দিক বিবেচনা করে এতদিন থাকতে দিয়েছি।

জুলাই বিপ্লবের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শতভাগ সিট হলের ব্যবস্থাপনায় হয়েছে এবং হলের ক্যানটিন, ডাইনিংসহ সব সুযোগ-সুবিধা প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কর্তৃপক্ষ হলে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ও শিক্ষা কার্যক্রমসহ সুষ্ঠু পরিবেশ উন্নত করতে বদ্ধপরিকর। 

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন থেকে দ্বিগুণ শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করায় এটি করা যায়নি। এখন থেকে এটার পরিবেশ ঠিক করতে আমরা ইতোমধ্যে গণরুম বিলুপ্ত করেছি এবং এক রুমেও শিক্ষার্থী সংখ্যা কমিয়ে আনব। দেখা গেছে এক রুমে ৪ জনের সিটে ৮ জন থাকে। ধারাবাহিক আরও ভালো করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের উদ্যোগ হলো, যেসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে, তারা নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত হল ত্যাগ করবে, নতুন শিক্ষার্থীরা সেখানে উঠবে।

আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে যদি কোনো শিক্ষার্থী হল না ছাড়েন, সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বিলেন, আমরা আশা করব শিক্ষার্থীরা এমন কোনো কাজ করবে না এবং তারা আমাদের সিদ্ধান্তকে এবং তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানকে সুন্দর করতে সহযোগিতা করবে। এ সময় তিনি সব শিক্ষার্থীর জন্য সঠিক সময়ে সিট নিশ্চিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence