বিতর্ক এড়াতে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম পরিবর্তন হয়নি, থাকছে নতুন আঙ্গিক

নববর্ষের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা
নববর্ষের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা  © ফাইল ফটো

কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছিল ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম পরিবর্তন হবে। নতুন নাম হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। তবে নাম পরিবর্তন ইস্যু নিয়ে তৈরি হয়েছিল বির্তক। দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষ নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। যার ফলে বিতর্ক এড়াতে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামই থাকছে। তবে থাকছে কিছু নতুন আঙ্গিক।

এবারের পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারোসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার স্লোগান—নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সকাল ১১টার দিকে সভা শুরু হয়। এতে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও যোগ দেন।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দিন আহমেদ বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সভায় কোনো আলোচনা হয়নি। এছাড়া, শোভাযাত্রার সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

সভায় ঢাবি উপাচার্য ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন অংশীজন উপস্থিত ছিলেন। রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দিন আহমেদ বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রাকে শুধু বাঙালিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্য রয়েছে।

সভায় দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও অন্যান্য সংগঠন কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং শোভাযাত্রায় কতজন মানুষ অংশ নেবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

তিনি আরও জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলও শোভাযাত্রায় অংশ নেবে।


সর্বশেষ সংবাদ