চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ে আগুন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড়ে আগুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড়ে আগুন  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের টেলিটক পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুড়ে গেছে পাহাড়ের বেশকিছু গাছ, লতা-গুল্ম।

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। যা পরে বিকালের দিকে বৃহৎ আকারে ধারণ করে। আগুন পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার পরে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর হায়দার আরিফ বলেন, আগুন লাগলেও আমরা সাথে সাথে জানতে পারিনি। আমরা জেনেছি বিকাল তিনটার দিকে। পরে আমাদের নিরাপত্তা দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যায়। একপর্যায়ে তারা হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় রাত সাড়ে নয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পাহাড়ে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে একটা মহল আছে যারা এই পাহাড়ে বিভিন্ন কিছু চাষ করতে চাই। যার কারণে পাহাড়ে আগুন দেয়। গত একমাসে এবার নিয়ে পাঁচবার পাহাড়ে আগুন দিয়েছে। আমরা ধারণা করি এর সাথে জড়িত আছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মচারী, আবাসিক এলাকার কিছু স্থানীয় লোকজন। এমন কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করে আমরা দ্রুত আইনের আওতায় আনবো।

এ বিষয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আগুন লাগার খবর শুনে দ্রুত  সাথে ঘটনাস্থলে যায়। পাহাড়ে বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগায় তা নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়। আমরা প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার অভিযানের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন শঙ্কা মুক্ত আছে।

এদিকে পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা করছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এভাবে পাহাড়ে আগুন লাগার ফলে যেমন করে লতা-গুল্ম পুড়ে ছাই হচ্ছে তেমন করে জ্বলে যাচ্ছে বড় গাছও। পাহাড় কাটা, বৃক্ষ নিধন, আগুন লাগার ফলের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি হুমকির মুখে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্য। প্রশাসনের উচিত এসব বিষয়ে কড়া নজর দেওয়া।


সর্বশেষ সংবাদ