ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় সেই অর্ণব সাময়িক বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠিত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪২ PM , আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০২ AM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ‘ওড়না পরা’ নিয়ে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মচারী মোস্তফা আসিফ অর্ণবকে সাময়িক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফ অর্ণব ছুটিতে থাকবেন।
এদিকে, অভিযুক্তের জামিনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশটিরও বেশি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এবং অভিযুক্তকে চাকরিতে বহাল রাখা হলে ক্লাস বর্জনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সহকারী প্রক্টর ড. রফিকুল ইসলাম জানান, তদন্ত কমিটি রবিবার এ বিষয়ে প্রথম বৈঠক করবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার, যখন ভুক্তভোগী ছাত্রী এক ফেসবুক পোস্টে জানান, শাহবাগ থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত মোস্তফা আসিফ অর্ণব তাকে ওড়না নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করে হেনস্তা করেন। তিনি ছাত্রীকে ‘পর্দা করা হয়নি’ বলে অভিযুক্ত করেন এবং তার আচরণ ছিল আক্রমণাত্মক।
ছাত্রীটি জানান, তিনি সালওয়ার কামিজ ও ওড়না পরা অবস্থায় ছিলেন। অভিযুক্ত তাকে ওড়না ঠিক করার কথা বললে তিনি পাল্টা জবাব দেন যে এটি দেখার অধিকার তার নেই। এরপর তিনি প্রক্টরকে কল দিতে চাইলে অভিযুক্ত দ্রুত পালিয়ে যান।
ঘটনার পর পুলিশ মোস্তফা আসিফ অর্ণবকে গ্রেপ্তার করলেও বৃহস্পতিবার আদালত তাকে জামিন দেন। পরে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মামলা প্রত্যাহার করেছেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে যে প্রক্টরিয়াল বডির পক্ষ থেকে মামলার বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য কোনো অনুরোধ বা চাপ দেননি। প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করেছেন এবং কোনো পক্ষ তাকে বাধ্য করেনি।