বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন লেখকদের সংবর্ধনা দিল ঢাবি ছাত্রশিবির
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৪ PM , আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৪ PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নবীন লেখকদের জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করেছে ঢাবি শিবির। যেসব শিক্ষার্থীর ২০২৩, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে স্বনামে বই প্রকাশিত হয়েছে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে তাদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ টাকা শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত নবীন লেখক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয় তাদের। এসময় নবীন লেখকরা প্রকাশিত বইয়ের রিভিউ উপস্থাপন ও ছাত্রশিবিরের প্রতি তাদের নানা প্রত্যাশার কথা জানান।
অনুষ্ঠানে ‘জুলাই ও একটি লাল মাশরিক’ বইয়ের লেখক জয়েনউদ্দীন সরকার তন্ময় বলেন, ‘নবীন লেখকদেরকে নিয়ে ছাত্রশিবিরের এই আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখালেখির প্রতি উৎসাহিত করবে।’
‘হাজার রঙের ক্যানভাস’ বইয়ের লেখক ফাহমিদুল হাসান বলেন, ‘আমরা শিবিরের কাছে প্রত্যাশা করি তার নবীন লেখকদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মশালা আয়োজন করবে। তারা ভালোমানের সাহিত্য পত্রিকা বের করবে, লেখকদের গ্রুমিং করবে। একটি নতুন বই প্রকাশের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকে সেই বিষয়ে নজর দিতে ছাত্রশিবিরের প্রতি আহ্বান জানান এই লেখক।’
এসময় কেউ কেউ নবীন লেখকদের লেখা শুরু করার সৎ সাহস দেন। গ্রাম পর্যায়ে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা ও পাঠচক্র পরিচালনার গুরুত্ব দেন।
এছাড়াও লেখার মান ভাল করার উৎসাহ দেন এবং যুগের চাহিদার সাথে মানানসই লেখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, ‘নবীন লেখকদের নিয়ে আমাদের সাহিত্য বিভাগের অনেকগুলো পরিকল্পনা রয়েছে; তাদেরকে সংবর্ধনার মাধ্যমেই আমরা শুরু করলাম। এটি আমাদের একটি এক্সক্লুসিভ আয়োজন। এরপর প্রকাশক-লেখকদের মতবিনিময় সভা আয়োজন করার চিন্তা রয়েছে। এছাড়াও প্রবীণ ও নবীন লেখকদের সমন্বয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা আয়োজন, বই প্রকাশের প্রতিবন্ধকতা যত সহজে কমানো যায় সে বিষয়েও আমরা কাজ করবো, ইনশাআল্লাহ।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘লেখকরা হচ্ছেন সমাজের সামষ্টিক প্রতিনিধি; যারা অতীত ও বর্তমানকে তাদের লেখার সাথে সমন্বয় করে তুলে ধরেন। অনেকেই লেখালেখিকে নিরুৎসাহিত করেন, কিন্তু আমরা বলতে চাই লেখালেখি হচ্ছে সদকায় জারিয়ার কাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘লেখকরা তো সমাজের চিন্তার গঠনকে নিয়ন্ত্রণ করেন। শিবির জ্ঞান ভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার আলোকে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা প্রতি মাসে ১২ টি মাসিক পত্রিকা বের করি যেখানে ইংরেজি,আরবি ও বাংলা ভাষায় সকল শিক্ষার্থীর বাংলা-ইংরেজি মাধ্যম, আলিয়া, কওমি, প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়। এর মাধ্যমে ব্যাপক নবীন লেখক তৈরি হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফা। তিনি বলেন, ‘ছাত্রশিবির একটি শিক্ষার্থী বান্ধব সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন লেখকদের আজকের আয়োজনের মাধ্যমে এই যাত্রা সূচনা। এরপর আমাদের চিন্তা রয়েছে নতুন লেখক তৈরি করতে দেশের স্বনামধন্য কবি, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিকদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।’