ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষা পুনরায় হবে কি না, যা জানাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

  © সংগৃহীত

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই প্রশ্নপত্রের একটি সেটের প্রশ্ন নিয়ে পরীক্ষার পরপরই আপত্তি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সেই প্রশ্নপত্রের পরীক্ষা বাতিল হবে কিনা এ নিয়ে আলোচনায়ও হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরীক্ষা বাতিল হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই। 

আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও  ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার  প্রধান সমন্বয়কারী ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম। তিনি বলেন,  অল্প কিছু প্রশ্নের সেটে প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।  আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে জানাতে পারব কীভাবে সমাধান হবে ।

পরীক্ষা বাতিল হবে কিনা জানতে চাইলে ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেন, পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। এ জন্য পরীক্ষা বাতিলের কোন সম্ভবনা নেই।

এদিকে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষ বাতিল হবে কিনা এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে। ফেসবুকে আবির হাসান নামের একজন লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ(সি)’ ইউনিটের পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার সম্ভবনা। পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত ডিন কমিটির মিটিং শেষে জানা যাবে। এর সত্যতা কতটুকু? আমাকে একজন শেয়ার করলো। কিন্তু কোন নিউজ পোর্টালে পেলাম না।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় দুটি সেটে চারটি প্রশ্ন রিপিট হয়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভর্তিচ্ছু এবং অভিভাবকরা।

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রশ্নপত্রের ‘এ’ সেটে অ্যাকাউন্টিং অংশে ২৫ নম্বরে প্রশ্ন এসেছে, ‘তাসনু ট্রেডার্স ভুলক্রমে ৮০,০০০ টাকার অনুপার্জিত সেবা আয়ের অর্জনের সমন্বয় সাধন করেনি। আর্থিক বিবরণীতে এর ফলাফল কী হবে?’। একই প্রশ্ন ৩৩ নম্বরে পুনরায় ছাপা হয়েছে। সেটের ২৬ নম্বরে ‘মাহরিন ও মেহনাজ একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের দুইজন অংশীদার। তাদের মুনাফা বণ্টন অনুপাত ৫:২। তারা স্নেহাকে ১/৪ অংশ মুনাফা বণ্টনের চুক্তিতে ব্যবসায়ে নতুন অংশীদার হিসাবে গ্রহণ করে। তাদের মুনাফার নতুন অনুপাত কত?’ প্রশ্নটি এসেছে। একই প্রশ্ন ৩৪ নম্বরে পুনরায় ছাপা হয়েছে।

সেটের ২৭ নম্বর প্রশ্ন এসেছে ‘কোনটি বিলম্বিত মুনাফা জাতীয় খরচ?’। এই প্রশ্নটি ৩৫ নম্বরে পুনরায় ছাপা হয়েছে। এছাড়া ২৮ নম্বরে ‘নিট বিক্রয় ও মোট মুনাফার পরিমাণ যথাক্রমে ৩০,০০০ টাকা এবং ৬,০০০ টাকা হলে ক্রয় মূল্যের উপর মুনাফার হার কত?’ প্রশ্ন এসেছে। এটি ৩৬ নম্বর প্রশ্নে পুনরাবৃত্তি হয়েছে।

একই সমস্যা ‘বি’ সেটের প্রশ্নে হয়েছে। এই সেটের মধ্যেই একই প্রশ্নগুলো ২৯ নম্বর ৩৩ নম্বরে পুনরাবৃত্তি হয়েছে। ৩০ নম্বরের প্রশ্নটি ৩৪ নম্বরে পুনরাবৃত্তি হয়েছে। ২৮ নম্বরের প্রশ্নটি ৩২ নম্বরে পুনরাবৃত্তি হয়েছে। এছাড়া ৩১ নম্বরটা ৩৫ নম্বরে পুনরাবৃত্তি হয়েছে।

‘বি’ সেটের যেসব প্রশ্নে পুনরাবৃত্তি হয়নি, সেসব প্রশ্নে ২৮ নম্বরে ‘রূপান্তর খরচের সমষ্টি...?, ২৯ নম্বরে ‘আরডি ফুড কোম্পানির বিক্রীত পণ্যের ব্যয় ৫,৫০,০০০ টাকা। প্রারম্ভিক মজুদ পণ্য ২,০০,০০০ টাকা এবং সমাপনী মজুদ পণ্য ২,৫০,০০০ টাকা। ক্রয়কৃত পণ্যের মূলা কত?’ ৩০ নম্বরে ‘একটি খরচ যা পূর্বে সম্পদ হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, এখন খরচ হিসেবে স্বীকৃত করা হয়। তাহলে নিট মুনাফার উপর কী প্রভাব পড়বে?’ এবং ৩১ নম্বরে সমাপনী জাবেদার মাধ্যমে কোন হিসাব বন্ধ করা হয়?’ প্রশ্নগুলো এসেছে। 


সর্বশেষ সংবাদ