ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাল্টিফেইথ কর্মশালা শুরু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ PM , আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫০ PM

অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দুই দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক মাল্টিফেইথ কর্মশালা’ শুরু হয়েছে। আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালা উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্র, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মাল্টিফেইথ নেইবারস নেটওয়ার্ক (এমএফএনএন) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থট (বিআইআইটি) যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করেছে।
কর্মশালা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক এবং আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, এমএফএনএন-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. বব রবার্টস জুনিয়র ও ইসলামিক সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকার চেয়ারম্যান ইমাম মোহাম্মদ মাজিদ।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এম শমশের আলী, আইআরএফ সেক্রেটারিয়েটের প্রেসিডেন্ট নাদিন মায়েনজা, ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল এনগেজমেন্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জেমস চেন, বিআইআইটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এম আব্দুল আজিজ, বাংলাদেশ ক্যাথলিক চার্চের প্রধান আর্চবিশপ বিজয় এন ডি ক্রুজ এবং ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য স্বামী অম্বেশানন্দ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। গ্লোবাল মুসলিম অ্যাফেয়ার্সের সিনিয়র অ্যাডভাইজার সাইয়েদ মুক্তাদির।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ‘আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। এ সময় ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে দেশের ইতিহাসে এক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থান থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজের সকল বৈষম্য দূর করতে হবে। সামাজিক বিভক্তি দূর করে পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় করতে হবে। এই কর্মশালা এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।