পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ফের অনশনে জাবি শিক্ষার্থীরা

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ফের অনশনে জাবি শিক্ষার্থীরা
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ফের অনশনে জাবি শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা সম্পূর্ণরূপে বাতিলের দাবিতে ফের আমৃত্যু গণঅনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে এই গণঅনশনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

অনশনকারীরা হলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মো. ইমরান হোসেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাজমুল ইসলাম, ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) ফারহানা বিনতে জিগার ফারিনা, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী, বাংলা বিভাগের মুহাম্মাদ মাহাদী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মুয়িদ মুহম্মদ, অর্থনীতি বিভাগের নকিব আল মাহমুদ এবং সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মালিহা নামলাহ।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অনশন শুরু করেন আট শিক্ষার্থী। পরে রাতে অনশনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ জনে। পরে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান সোমবার দুপুর ৩টায় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করে সিদ্ধান্ত নেবেন এমন আশ্বাসে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তারা অনশন স্থগিত করেন।

এরপর সোমবার দুপুরে সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং জানান, তারা পোষ্য কোটার বিষয়ে একটি কমিটি করেছে এই কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। উপাচার্যের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা ফের অনশনে বসেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘আমরা মনে করি, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দুরভিসন্ধিমূলক কাজ, যেটার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আসন্ন জাকসু নির্বাচন বানচাল করতে চায়। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জাকসুর তফসিল ঘোষণা করার কথা, কিন্তু এই সময়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার মতো একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রশাসন জাকসু নির্বাচন বানচাল করতে চায়। আমরা মনে করি, আমাদের এই যৌক্তিক আন্দোলন চলবে, পাশাপাশি আমাদের জাকসু নির্বাচনও সময়মতো হতে হবে। অন্যথায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে কাজগুলো করছে সেটাকে আমরা গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী কাজ হিসেবে গণ্য করব এবং এই প্রশাসন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব।’

উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘এই সমস্যা সমাধানের জন্য ৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী একটি কমিটি গঠন করেছি। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী আমরা সরাসরিভাবে এখানে কোনো কিছু ডিক্লেয়ার করতে পারি না।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence