ঢাবি ভর্তিতে কোটা বাতিল ও সংষ্কার চেয়ে ভিসিকে স্মারকলিপি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৩ PM , আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৮ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ড (শিক্ষক ও কর্মচারীদের সন্তান) ও খেলোয়াড় কোটাসহ অযৌক্তিক কোটা বাতিল এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী কোটা যৌক্তিকভাবে সংস্কারের দাবিতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) এই স্মারকলিপি জমা দেন তারা। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির আলোকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কোটা সংস্কার করে সংশোধিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানান। অন্যথায় তারা মেধাভিত্তিক বাংলাদেশের লক্ষ্যে দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ভিসি আমাদেরকে কার্যকর পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। কিছু বিষয়কে অনলাইন ভর্তি অফিসের দুর্বলতা বলে চিহ্নিত করেছেন। আমরা আশাবাদী প্রশাসন এই দুর্বলতা খুব শীগ্রই কাটিয়ে উঠতে পারবেন।গণঅভ্যুত্থানের উপর ভর দিয়ে চলছে আজকের মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশ সেই অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিলো সরকারি চাকরিতে বৈষম্য মূলক কোটা বাতিলের দাবিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন গণঅভ্যুত্থানেরই ফসল, সুতরাং আমরা আশা করছি অনতিবিলম্বে কোটার বিষয়ে উনারা যৌক্তিক সমাধান দিতে সমর্থ্য হবেন।
তারা আরও জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের সন্তানরা শহরের ভালো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। তাদের কোনো পিছুটান নেই। অথচ তারা মাত্র শতকরা ৪০ মার্ক পেলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে। রক্তক্ষয়ী জুলাই অভ্যুত্থানের পর এই ধরণের বৈষম্য থাকতে পারে না। আমরা প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি পুনরায় সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য। যদি এই বৈষম্যমূলক কোটার কোনো যৌক্তিক সমাধান না করা হয় তাহলে আমরা শিক্ষার্থীরা আবারো কোটার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত আছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আল-ফাহাদ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের সন্তানরা শহরের ভালো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। তাদের কোনো পিছুটান নেই। অথচ তারা মাত্র শতকরা ৪০ মার্ক পেলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে। রক্তক্ষয়ী জুলাই অভ্যুত্থানের পর এই ধরণের বৈষম্য থাকতে পারে না। আমরা প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি পুনরায় সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য। যদি এই বৈষম্যমূলক কোটার কোনো যৌক্তিক সমাধান না করা হয় তাহলে আমরা শিক্ষার্থীরা আবারো কোটার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামকে প্রস্তুত আছি।
২০২১-২২ সেশনের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতিমা তাসনিম জুমা জানান, আমরা খুবই দুঃখের সাথে লক্ষ্য করেছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বেশ কিছু অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বিদ্যমান রয়েছে। আমরা একটি মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ তৈরির স্বপ্ন নিয়েই জুলাইয়ের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে গিয়েছি। সুতরাং এতো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশে এমন অযৌক্তিক কোটা অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এবং প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ পশ্চাদগামী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য যৌক্তিকভাবে কোটা সংস্কার করতে হবে।