ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১৪টি দাবি সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ PM , আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফার দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ১৪টি দাবি তুলে ধরেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। একই সঙ্গে আর কী কী দাবি যুক্ত করা যায়, সেই মতামতও চেয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দাবিগুলো তুলে ধরেন তিনি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য হাসনাত আবদুল্লাহর দাবিগুলো নিচে তুলে ধরা হলো—
১. ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ছাত্র সংসদকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিতে হবে।
২. জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্যোগ নিয়ে মামলা দায়ের করতে হবে।
৩. বিগত ১৫ বছরে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার রূপকল্প বা রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত মেধার ভিত্তিতে আসন দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
৫. আবাসন সংকট নিরসনে দ্রুততম সময়ে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন হল নির্মাণ করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের কমন রুমের সংখ্যা ও সুবিধা বাড়াতে করতে হবে।
৬. সংস্কার করে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে আবার শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ করতে হবে।
৭. বিশ্ববিদ্যালয় আইন করে ‘গেস্ট’ ও ‘গণ রুম’ সংস্কৃতি চিরতরে বিলুপ্ত করতে হবে।
৮. প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনের ভিত্তিতে বৃত্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৯. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও হলের পাঠকক্ষ বা রিডিং রুমের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করতে হবে।
১০. বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানটিন ও ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়োজনে ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।
১১. নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত গণপরিবহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
১২. শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়ন ও হলে হলে ওষুধের দোকান স্থাপন করতে হবে।
১৩. রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সেবার মানের আধুনিকীকরণ করতে হবে।
১৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদকে আধুনিক স্থাপত্যের আলোকে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।