সিকৃবিতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, ক্লাস শুরু ৫ সেপ্টেম্বর
- সিকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৪ AM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৪ AM
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সিকৃবির রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আতাউর রহমান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্তের নেওয়া হয়।
সিন্ডিকেট সভায় দেশের পূর্বাঞ্চলের বন্যার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া এবং ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং, প্যানেল কালচার নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রচলিত বিধি-বিধান যথাযথ প্রতিপালন করতে এবং শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ সংযুক্ত হলে আসন নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১ জুলাই শিক্ষক-কর্মচারীদের সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে সরকার শিক্ষকদের দাবি মেনে নিলেও কোটা সংস্কার আন্দোলন ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে রূপ নেওয়ায় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সিকৃবিতেও বন্ধ ছিল ক্লাস-পরীক্ষা।
আরো পড়ুন: বাকৃবিতে সভা-সমাবেশ বন্ধ ঘোষণা, শুরু হচ্ছে ক্লাস
অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সিকৃবি ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, উপাচার্যের পদত্যাগ ও দ্রুত শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করাসহ কয়েকদফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ডিন কাউন্সিলের সভায় সিকৃবিতে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় শ্রেণী কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত আটকে থাকে। পরে গত ২১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুল ইসলাম আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন। একই দিনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর প্রেরিত পত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে উপাচার্যের পদ হতে অব্যাহতি চান অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।