কোটাবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল চবি ক্যাম্পাস

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ  © টিডিসি ফটো

চতুর্থ দিনের মতো কোটাবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুর্নবহালের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে এ কর্মসূচি পালন করছেনন শিক্ষার্থীরা।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মেধা না কোটা? মেধা, মেধা’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না’, ‘বৈষম্যের ঠাই নাই, আমার সোনার বাংলায়’, ‘দেশের মেধা দেশেই থাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক’, ‘১০০ শতাংশ কোটা চাই, নাগরিকের অধিকার নাই’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। এছাড়া বিভিন্ন গানের মাধ্যমে কোটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি না মানলে সামনের দিনগুলোতে দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচী ঘোষণা করার হুশিয়ারি দেন।

সমাবেশে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল মালেক বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিশ্চয় নিজেদের সন্তান আর নাতি-নাতনির কোটার জন্য লড়াই করেননি। তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমরাও ৫৬ শতাংশ কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। আমাদের পক্ষে রায় না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকার আদায় হওয়া না পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। বাংলার মাটিতে এ বৈষম্য কোটা প্রথা হতে দেওয়া যাবে না। কোটা প্রথা হলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ। বাংলার মাটিতে মেধাবীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। না হলে মেধাবীদের কান্না কখনও দূর হবে না।’

আরো পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আপিল শুনানি হয়নি

শুরু থেকেই চার দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ