চবি ভর্তি পরীক্ষার আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশের দাবি শিক্ষক সমিতির

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন চবি শিক্ষক সমিতির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন চবি শিক্ষক সমিতির নেতারা।  © টিডিসি ফটো

ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য, শিক্ষক এবং একটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়টিকে আইনের চরম লঙ্ঘন বলে জাতীয় সংসদে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তবে অভিযোগটি পুরোপুরি সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, এ অভিযোগের কারণে টাকা ভাগাভাগির দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের ওপরেও এসে পড়েছে। অথচ এসবের সঙ্গে শুধু প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাই জড়িত থাকতে পারে৷ কেননা সাধারণ শিক্ষকরা আয়-ব্যয়ের হিসাবও জানেন না, ভাগবাটোয়ারার হিসেব তো অনেক দূরের বিষয়।

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ বলছে ভর্তি পরীক্ষার যে আয়, এরচেয়ে বেশি ব্যয় হয়। আমরা বলেছি যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে প্রয়োজনে আমরা হল পরিদর্শনের যে সম্মানী দেওয়া সেটা আমরা নিবো না, কিন্তু আয়-ব্যয়ের হিসাবটা যেই সভায় আপনারা নির্ধারণ করেন, সেখানে শিক্ষক সমিতির একজন সদস্যকে রাখুন। তাহলে শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা বাকিদের কাছে সঠিক তথ্যটা পৌঁছে দিবো। কিন্তু তারা এতে রাজি হননি।

আরও পড়ুন: চবির ভর্তি ফরম বিক্রির ২৩ কোটি টাকা ভিসি শিক্ষক ও ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগাভাগি: চুন্নু

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, উপাচার্য নিজের পরিদর্শন ভাতা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছেন, অথচ সাধারণ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে মাত্র ৫ শতাংশ পরিদর্শন ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় আয় হয়েছে প্রায় ২১ থেকে ২৩ কোটি টাকা। সেখানে আমরা হিসাব করে দেখলাম, খুব বেশি হলে এখানে ৭-৮ কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। তাহলে এ অর্থ কোথায় যাচ্ছে? এ টাকা কোন খাতে ব্যয় করছেন, সেটা যদি সবার সামনে তুলে না ধরেন, তাহলে শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরে চারুকলা ইন্সটিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে একটি ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন উপ-গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষের জন্য উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান শিক্ষক সমিতির আন্দোলনকে দায়ী করার প্রতিবাদ জানায় শিক্ষক সমিতি। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকদের সম্মানী নির্ধারণ ও আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করার দাবি জানানো হয়।  


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence