২২ ঘণ্টায় তিনবার সংঘর্ষে জড়াল চবি ছাত্রলীগ, থমথমে ক্যাম্পাস

দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষে থমথমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষে থমথমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষে দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত সর্বশেষ ২২ ঘণ্টায় তিনবার সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিজয়, সিক্সটি নাইন ও সিএফসি গ্রুপের মধ্যে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পক্ষগুলোর অন্তত ডজন খানেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

সংঘর্ষের সূত্রপাত বুধবার মধ্যরাত থেকে। শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপ ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে প্রথম এ ঘটনা ঘটে। বিজয় গ্রুপ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সিক্সটি নাইন সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়।

জানা গেছে, বিজয় গ্রুপের বর্তমান কর্মী কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালে সিক্সটি নাইন গ্রুপের সাথে যুক্ত ছিলেন। এ নিয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে গত রোববার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইনের কর্মীরা।

গতকাল বুধবার সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে সোহরাওয়ার্দী হলের দিকে এলে কামরুলের সঙ্গে তার হাতাহাতি হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে আর বিজয়ের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নে। পরে উভয় গ্রুপের কর্মীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এরপর সকাল থেকে থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে দুপুরে ফের সংঘর্ষে জড়ায়  বিজয় গ্রুপ ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। শাখা ছাত্রলীগের উপ গ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাশেদকে পূর্বের ঘটনার জের ধরে আজকের চলমান পিঠা উৎসবে তারা মারধর করে। সেই মারধর থেকে রূপ নেয় সংঘর্ষে।

এরপর সর্বশেষ রাত ৮টার দিকে ফের সংঘর্ষে জড়ায় সিএফসি ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত দুপক্ষে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। 

চবির সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পরে আমানত হলের এক ছাত্রকে মারধর করে শাহজালাল হলের কিছু  ছাত্র। এরপর থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে প্রবেশের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ছাত্রদের বাধার সম্মুখীন হয়ে প্রবেশ করতে পারিনি। আমরা পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু তায়েব বলেন, শাখা ছাত্রলীগের ১৫ কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন মাথায় আঘাত পেয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ