চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮— তিনজনের মাথায় সেলাই

চবিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া
চবিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া  © টিডিসি ফটো

মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই বগিভিত্তিক উপ-গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত আটজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলের মধ্যবর্তী সড়কে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। 

সংঘর্ষে জড়ানো গ্রুপ দুটি হলো চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও  ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)। এদের মধ্যে ভিএক্স  নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ও সিএফসি  শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে  ক্যাম্পাসে পরিচিত। 

সংঘর্ষের সময় ভিএক্স গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এবং সিএফসি গ্রুপের নেতাকর্মীরা আমানত হলের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপক্ষের কর্মীরা অন্য পক্ষের কর্মীদের লক্ষ্য করে ব্যঙ্গ স্লোগান দিতে থাকে। সেইসঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতেও দেখা গেছে। পরে রাত ২টায় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ সংঘর্ষে লিপ্ত নেতাকর্মীদের হলে ঢুকিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। 

জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে ভিএক্স গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করেন সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ভিএক্সের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এবং সিএফসির নেতাকর্মীরা আমানত হলের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, সংঘর্ষে আহত হয়ে আটজন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা উভয় পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ