আইইউবি ও ব্র্যাকের দুই শিক্ষকের পক্ষে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

আইইউবি ও ব্র্যাকের দুই শিক্ষকের পক্ষে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আইইউবি ও ব্র্যাকের দুই শিক্ষকের পক্ষে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান  © টিডিসি ফটো

ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবের সঙ্গে অন্যায় আচরণের অভিযোগ এনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিচত্বরে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা মনজুর বলেন, জিনা একটি মারাত্মক গুনাহ। এর থেকে মারাত্মক সমকামিতা এবং ট্রান্সজেন্ডার। এর শাস্তি আল্লাহ তা’য়ালা দুনিয়া এবং আখিরাতেও দেবেন। এর জন্য আত্মহত্যার হার বেড়ে যাচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রভাবিত করে এবং সমাজকে নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ট্রন্সজেন্ডার নিয়ে যে খসরা আইন চলছে বা পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ আইন করার প্রচেষ্টা চলছে সেটা এখানেই থামিয়ে দেওয়া হোক। আর ড. মোহাম্মদ সারোয়ার স্যার এবং আসিফ মাহতাব স্যারকে তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনা হোক।

ম্যানেজমেন্ট  বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, হিজড়াদের সমাজে ফিল্ড করে দেওয়া, তাদের শিক্ষা দেওয়া, তাদের দক্ষ করে তোলার জন্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য সাধুবাদ জানাই। কিন্তু যারা হিজড়াকে পুঁজি করে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ চালু করার চেষ্টা করছে তাদের কনডেম করি। আমরা রক্তের বিনিময়ে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীন দেশে যদি কেউ ধর্মীয় সংস্কৃতি, ব্যক্তিগত মতপ্রকাশে হস্তক্ষেপ করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো।

তিনি বলেন, আসিফ মাহতাব ও ডক্টর সারোয়ার স্যারকে তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনা হোক। ট্রান্সজেন্ডার মতবাদের জন্য প্রয়োজনে আরো বড় কর্মসূচি করে ব্রাক ইউনিভার্সিটির ঘেরাও করা হবে। যদি তাদের এরকম কর্মকাণ্ড বন্ধ না করা হয়। 

তিনি আরো বলেন আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলারে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার শব্দটি বাদ দেওয়া যায়নি। আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, তারা ট্রান্সজেন্ডার বলতে শুধু হিজড়াদের বুঝিয়েছেন বলে জানান। এখন আমরা অপেক্ষা করছি পরবর্তী ধাপের জন্য। প্রয়োজনে আমরা আরো বড় কর্মসূচি করতে বাধ্য হব।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আবু ইউসুফ বলেন, হিজড়া আর ট্রান্সজেন্ডার এক নয়। আল্লাহ তায়ালা সমকামিতাকে হারাম করেছেন। যারা কওমে লূত বা সমকামিতায় লিপ্ত, তাদের উভয়কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষাক্রমের সিলেবাসে ট্রান্সজেন্ডারসহ যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো রিভিউ করে কর্তৃপক্ষকে সমাধান করার আহ্বান করছি।

এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাবির টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, এমআইএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তফা মনজুর ও অধ্যাপক আবু ইউসুফসহ আরও অনেকে।


সর্বশেষ সংবাদ