১১ হাজার ভর্তিচ্ছুর আবেদন বাতিল করেছে চবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় চূড়ান্ত আবেদন করেছেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫৫ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৯ জন শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করলেও নির্ধারিত সময়ে ফি পরিশোধ না করায় ১১ হাজার ১১৪ জনের আবেদন বাতিল হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ১ হাজার ২১৫টি আসনের বিপরীতে চূড়ান্ত আবেদন করেছেন ৯৯ হাজার ৫২১ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৮২ জন। কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি আসনের বিপরীতে চূড়ান্ত আবেদন করেছেন ৬৫ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য লড়বেন ৫৪ জন। 

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে ৬৪০টি আসনের বিপরীতে চূড়ান্ত  আবেদন করেছেন ১৭ হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ২৭ জন। সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে ৯৫৮টি আসনের বিপরীতে চূড়ান্ত আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৮০৪ জন। প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬০ জন। 

এছাড়া দুটি উপ–ইউনিটের মধ্যে ‘বি-১’ ইউনিটে ১২৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ১ হাজার ৬৬৯টি। আসন প্রতি লড়বেন ১৩ জন। আর ‘ডি–১’ উপ–ইউনিটে ৩০টি আসনের বিপরীতে আবেদন ১ হাজার ৯৯৪ জন। সে হিসাবে লড়বেন ৬৭ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ভর্তি আবেদনের পর যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি পরিশোধ করেননি, তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। আবেদনের পর যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফি পরিশোধ করেছেন তাদের সংখ্যাটা হলো ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো অনুষদে মোট আসন রয়েছে ৪ হাজার ৯২৬টি। সে হিসেবে প্রতি আসনে ৪৯ জন ভর্তিচ্ছু লড়াই করবেন।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের সিলেবাসে এবার কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইংরেজিতে ৪০, বিশ্লেষণ দক্ষতায় ৩০ ও সমস্যা সমাধান (প্রবলেম সলভিং) অংশে ৩০ নম্বর থাকবে। এছাড়াও এবার সব বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা একই প্রশ্নে পরীক্ষা দেবে এই ইউনিটে। এতে করে শিক্ষার্থীরা দক্ষতার সাথে নিজেদের যাচাই করতে পারবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে ৪ জানুয়ারি থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময় ছিলো শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।  

এবারের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ থেকে ১৬ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষার জন্য শর্তসাপেক্ষে সুযোগ রাখা হয়েছে। ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে, ভুল উত্তরের জন্য ০ দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ২০ নম্বর যোগ হবে। তবে দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারীদের মোট নম্বর থেকে কাটা পড়বে ৫ নম্বর। এবার ফি বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রথমবারের মতো এবারের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে একাধিক বিভাগে। কেন্দ্র হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। তবে চাইলেই এ দুই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যাবে না। সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে এ সুযোগ দেওয়া হবে। যিনি আগে আবেদন সম্পন্ন করবেন, তার পছন্দক্রম অনুসারে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে তার কেন্দ্র আগে নির্ধারণ করা হবে।

২ মার্চ ‘এ’ ইউনিটের, ৮ মার্চ ‘বি’ ইউনিটের, ৯ মার্চ ‘সি’ ইউনিটের এবং ১৬ মার্চ ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এছাড়া ‘বি-১’ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ মার্চ ও ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ‘বি-১’ উপ-ইউনিটের ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১২, ১৩ ও ১৪ মার্চ এবং ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের ব্যবহারিক ১০ ও ১১ মার্চ হবে।


সর্বশেষ সংবাদ