ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিচ্ছে ঢাবির মৈত্রী হল প্রশাসন

ঝুঁকিপূর্ণ শিকদার মনোয়ারা ভবন
ঝুঁকিপূর্ণ শিকদার মনোয়ারা ভবন   © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ঝুকিঁপূর্ণ মনোয়ারা ভবন থেকে শিক্ষার্থীদের স্থানান্তর শুরু করেছে হল প্রশাসন। এর আগে কুয়েত মৈত্রী হলের ঝুকিঁপূর্ণ ভবন নিয়ে নিউজ প্রকাশ করেছে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস।  

গত ২২ ডিসেম্বর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, আবাসন সংকট, নানাবিধ সমস্যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়টি হল প্রশাসনের নজরে আসে। পরবর্তীতে ২৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নির্দেশে ঝুকিপূঁর্ণ মনোয়ারা ভবনের  ১০৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮০ জনকে অন্যান্য হলে স্থানান্তর করে কুয়েত মৈত্রী হল প্রশাসন।

হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুয়েত মৈত্রী হলের প্রধান ভবনে ৩৮ জন, ফয়জুন্নেসা ছাত্রীনিবাসে ৩২জন, সুফিয়া কামাল হলে ১০ জনসহ মোট ৮০ জন শিক্ষার্থীকে সিট দেওয়া হয়েছে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে মনোয়ারা ভবনে ফাটল দেখা দিলে হল প্রশাসন বিষয়টি নজরে নিলেও তাৎক্ষণিকভাবে তখন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কিন্তু সম্প্রতি হলটির আবাসন সংকট ও অবস্থা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে হল প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৩ ডিসেম্বর হলের প্রভোস্ট ড. নাজমুন নাহার শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের বৈধ সিটের অনুমোদন দিয়ে তাদের পছন্দ মত বিভিন্ন হল এ প্রেরণ করেন। 

কবি সুফিয়া কামাল হলে স্থানান্তর হওয়া তৃতীয় বর্ষের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, কুয়েত মৈত্রী হলের মনোয়ারা ভবনে থাকাকালীন অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে, যেমন ওয়াশরুম সমস্যা, আবাসন সমস্যা, ছারপোকা ও তেলাপোকার উপদ্রব, পর্যাপ্ত আলো বাতাস না থাকাসহ বিভিন্ন সমস্যা। কিন্তু কবি সুফিয়া কামাল হলে এসে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়নি। এ হলের পরিবেশ মৈত্রী হলের চেয়ে অনেক ভালো। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে বের হতে পেরেছি এটাই অনেক বড় পাওয়া।  

বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. নাজমুন নাহার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি, ঝুঁকিপূর্ণ মনোয়ারা ভবনের সকল শিক্ষার্থীকে আমরা বিভিন্ন হলে স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে  ১০৬ জনের মধ্যে ৮০ জনকে সিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বাকি ২৮ জনকেও চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে  অন্যত্র সরিয়ে ফেলবো। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের  প্রশাসনের উদ্যোগ, এটা আমার হল পর্যায়ের কোনো উদ্যোগ না।

তিনি আরো জানান, ২৬ তারিখে একটি সাধারণ সভার মাধ্যমে বাকি মেয়েদের ফয়জুন্নেসাতে স্থানান্তর করার চেষ্টা করবো।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence