নানিকে শেষবারও দেখা হলো না ছাত্রদল নেতার, আছেন কারাগারে
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:১৭ PM , আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০২:২৫ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক মো. তানভীর হাসানকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিরুদ্ধে। মারধরের পর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তানভীরের নানির মৃত্যুর খবরও তার কারাগারে যাওয়া ঠেকাতে পারেনি। সোমবার (২০ নভেম্বর) ছাত্রদলের এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব অভিযোগ জানানো হয়েছে।
গত রবিবার (১৯ নভেম্বর) আনুমানিক দুপুর দুইটার দিকে মারা যান তানভীরের নানি। এদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার কথা ছিলো তানভীরের। কিন্তু বিকাল চারটার দিকে পিজি হাসপাতাল এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কর্মসূচি শেষে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাকে মারধরে করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ছাত্রদলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে বলা হয়েছে, পুরনো মিথ্যা মামলায় নাম জড়িয়ে গ্রেফতার দেখানো হবে ছাত্রনেতা তানভীরকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বারবার যোগাযোগ করে মানবিক দিক বিবেচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করলেও উনারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বরং মিথ্যা আশ্বাসের নামে কালক্ষেপণ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন অমানবিক আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আরেক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত করলো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবারো প্রমাণ করলো উনারা ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতার বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। যেহেতু বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য নয়, তাই আমরা এই ক্ষমতালোভী অমানবিক প্রশাসনের অনতিবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পুলিশের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন এবং তানভীরের শোকসন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
ছাত্রদল নেতারা বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক হওয়ার পরিবর্তে সরকারের সেবাদাসের ভূমিকা পালন করছে। সরকার ও তার পুলিশের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, গ্রেফতার-নির্যাতন করে ছাত্র-জনতার ন্যায্য গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। শিগগিরই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে হটিয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে।