চবি ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে পদধারীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রদলের লোগো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রদলের লোগো

৯ মাস পর ৫ সদস্যের কমিটি পেয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদল। এর আগে গত বছরের ১১ নভেম্বর চবি ছাত্রদলের ২৪৩ সদস্যের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সংসদ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ ইকবাল খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আংশিক এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে পদধারীদের মধ্যে এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহসভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া তিন নেতা। 

নতুন কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মহসীনকে ও সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন একই বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল্লাহ আল নোমান। 

সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলাম। আমার ত্যাগ এবং কাজকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। আমার চেয়ে ভালো কাউকে সভাপতি করলেও মেনে নিতে পারতাম।

সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন বলেন, মাঠে-ময়দানে না থাকা নেতা তদবিরের মাধ্যমে সভাপতি হয়ে গেছেন। আমরা লিখিতভাবে বিষয়টির প্রতিবাদ জানাবো।

কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, একটি কমিটি এমনি এমনি দিয়ে দিলেই হয় না। বিগত বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো কমিটি হয়েছে এবার।  সিনিয়র সবাই পদ পেয়েছেন। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সারাদেশে যে আন্দোলন চলছে তা বেগবান করার জন্য কাজ করে যাবো।

তবে নতুন কমিটি নিয়ে সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মহসীন বলেন, দেশের নির্বাচনকালীন বছরে এই কমিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। একটা কমিটি দেওয়ার আগে সবকিছু যাচাই-বাছাই করেই দেওয়া হয়। আমাদের কমিটিও তার ব্যতিক্রম নয়। 

এছাড়াও কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি পদে অর্থনীতি বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের মামুনুর রশিদ মামুন রয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আংশিক এই কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ