রাবির ভর্তি পরীক্ষায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৩, ০২:০৫ PM , আপডেট: ২৭ মে ২০২৩, ০২:০৫ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২২-২৩ সেশনে স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিনটি মেডিকেল টিম, ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স, ১২ স্থানে ওয়াশরুম, ১১টি ওয়াটারপ্রুফ টেন্ট, ১১টি হেল্পডেস্কসহ ২৫টি পদক্ষেপ নিয়েছে রাবি কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল ও সংশ্লিষ্টরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। এছাড়া কোন প্রতারকের প্ররোচনায় সাড়া না দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
উপাচার্য আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষা বিশাল এক যজ্ঞ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একার পক্ষে এটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাই সকলের সহযোগিতা কাম্য। তাছাড়া ক্যাম্পাসে ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের সার্বিক নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও মেডিকেল টিম সর্বদা কাজ করবে।
এছাড়াও, চারুকলা ও কৃষি অনুষদে যাবার জন্য শহর থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের অক্ট্রয়মোড় থেকে ওভারব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা ও ভদ্রা গেট এবং কাটাখালীর দিক থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের ফল গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার সার্ভিসের পাশের রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। সকাল ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনমুখী সংযোগ সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং অটোরিক্সাসহ কোনো প্রকার যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। পরীক্ষা সংক্রান্ত ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত গাড়িসমূহ এই নির্দেশের আওতামুক্ত থাকবে।
২৯ থেকে ৩১ মে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ তাদের ব্যক্তিগত গাড়িসমূহ পার্কিং এর জন্য সাবাস বাংলাদেশ মাঠ ব্যবহার করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবাসিক এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কাজলা গেট ব্যবহার করবেন এবং বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্যারিস রোড হয়ে মেইন গেট এবং রোকেয়া হলের পেছনের রাস্তা (ফ্লাই ওভার সংলগ্ন) ব্যবহার করতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি এবং অসদুপায় অবলম্বন একটি আলোচিত বিষয়। এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে থাকি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মতে, এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় তিন ইউনিটে আবেদন (কোটাসহ) পড়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৪টি। এরমধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৭২ হাজার ৫০টি, ‘বি’ ইউনিটে ৩০ হাজার ৬৭৪টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭৫ হাজার ৮৫০টি। আসন সংখ্যা রয়েছে ৩ হাজার ৯৩০টি। সেই হিসেবে প্রতি আসনে লড়বেন ৪৫ জন ভর্তিচ্ছু। ১০০ নম্বরের এই পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে ৮০টি। নূন্যতম পাশ নম্বর ৪০।