আত্মহত্যা করা চবি ছাত্রীর বিয়ের খবর জানতো না পরিবার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সেই ছাত্রী মারা গেছেন। আত্মহত্যা চেষ্টার পর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা জানিয়েছেন, তিনি গোপনে বিয়ে করেছিলেন। তার বিয়ের এ খবর তার পরিবার জানতেন না। একদিকে গোপনে বিয়ে অন্যদিকে তার স্বামীও ছিলেন উদাসীন। একইসময়ে একাডেমিক পড়াশোনা নিয়েও তিনি ছিলেন হতাশ। সবমিলে এসব কারণে তিনি আত্মহত্যা চেষ্টা করতে পারেন বলে সহপাঠীদের ধারণা।

এদিন বিকেল ৫টার দিকে ওই ছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টার বিষয়টি জানাজানি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ২১০ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। তার বাড়ি লালমনিরহাট সদরে।

ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন তার পাশের কক্ষের ছাত্রীরা। পরে তাৎক্ষণিক হল গার্ডের সহায়তায় তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে সেখান থেকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: জাবির সেই ছাত্রের টেবিলে 'দ্য ডেথ' বই, স্ট্যাটাসে 'অন দ্য ওয়ে টু ইটারনিটি'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রীর এক সহপাঠী বলেন, পরিবারের অগোচরে বিয়ে করেছিলেন তিনি। বিয়ের কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারেন, তার স্বামী উদাসীন। এটা নিয়ে সে হতাশায় ভুগছিলেন। এছাড়া একইসময়ে পরিবারও বিয়ের বিষয়টি জেনে গিয়েছিল।

জানা গেছে, ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ওই ছাত্রী ৪র্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত ০৪এপ্রিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় একটি পরীক্ষা দিতে পারেননি। এটা নিয়েও তিনি অনেকটা হতাশায় ছিলেন। তবে আগের সেমিস্টারে ফলাফল ভালো ছিলো।

হলের সিকিউরিটি গার্ডরা জানান, এদিন দীর্ঘসময় মেয়েটির স্বামী হলের গেস্টরুমে অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু মেয়েটি আসছিলেন না। পরে ছাত্রীরা গার্ডকে খবর দিলে গার্ডদের সাথে উপরে যান স্বামী। কিন্তু এ সময় রুমের ছিটকিনি ভেতর থেকে বন্ধ ছিলো। এরপরে রুম খোলা হলে ভেতরে জানালার সাথে গলায় ফাঁসরত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদার দ্যা ডেইল ক্যাম্পাসকে বলেন, ওই ছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টার বিষয়টি জানার পর আমরা তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। প্রয়োজনীয় মেডিকেল প্রসিডিউর শেষ হওয়ার পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও জানতে পারিনি।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, অচেতন অবস্থায় চবির এক শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসিজি করার পর রিপোর্ট দেখে মৃত ঘোষণা করেন। 


সর্বশেষ সংবাদ